দাদি বিজয়রাজে সিন্ধিয়া ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিয়েছিলেন জনসংঘে। বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়া ১৯৮৪ সালে জনসংঘ ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। আর ২০২০ সালে ১০ মার্চ রঙের খেলা হোলির দিনে বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর এ জন্য বেছে নিলেন বাবা, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাধব রাও সিন্ধিয়ার ৭৫তম জন্মবার্ষিকীকে। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসে নেতারা যখন প্রয়াত মাধব রাওয়ের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, তখন অমিত শাহর সঙ্গী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জ্যোতিরাদিত্য।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সোমবারই কংগ্রেস থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন। কালই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন জ্যোতিরাদিত্য। স্পষ্ট হয়, তিনি গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন। একা যাচ্ছেন না। তাঁর সঙ্গে জুটেছেন মধ্যপ্রদেশের ১৯ বিধায়ক। তাঁরা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। ফলে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতন এখন সময়ের অপেক্ষা। কর্ণাটক দখলে যতটুকু কষ্ট করতে হয়েছিল, এবার তাও লাগবে না বিজেপির। একই সিঁদুরে মেঘ চোখ রাঙাচ্ছে রাজস্থানে। ছয় বছর আগে ভারতের ক্ষমতা হারানো কংগ্রেসের দখলে এখনো আছে ৫টি রাজ্য। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানই বড়। কিন্তু প্রথমটি প্রায় হাতছাড়া; দ্বিতীয়টি হয়তো ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে।
হোলির দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহ রাজনৈতিক হোলি খেলার চূড়ান্ত রূপ দেখালেন। মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ারের ঘর ভাঙার পরও মুখ থেকে কংগ্রেস যে খাবার কেড়ে নিয়েছিল, তার বড় প্রতিশোধ এটি। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ‘রাজপুত্রের’ এ দলবদলকে এখন নিছক রাজনৈতিক রেষারেষির বৃত্তের মধ্যে রাখা যাচ্ছে না। এক সিন্ধিয়া চলে যাওয়ার পর একেবারে অকূলপাথারে হয়তো পড়ে যাবে না দলটি। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা একে দেখছেন কেন্দ্রে ক্ষমতাহারা, বেশির ভাগ রাজ্যহারা কংগ্রেসের বিপর্যয় হিসেবে। যার জন্য দলটির নেতৃত্বের দায়ভার অনেকটাই। এক দীর্ঘ অচলায়তনের বিরুদ্ধে আর এ দলত্যাগ দলটির জন্য অশনিসংকেতও বটে। অনেকে বলছেন, সিন্ধিয়ার চলে যাওয়া দলের ভেতরে দীর্ঘদিন দিন ধরে চলে আসা নবীন-প্রবীণের লড়াইয়ের বহিঃপ্রকাশ। এখন আরও কোণঠাসা নবীনেরা চলে যাওয়ার পথ খুঁজবেন। হিন্দুস্থান টাইমসের সম্পাদকীয় পরিচালক বীর সিংভি টুইটারে লিখেছেন, ‘সিন্ধিয়া চলে গিয়ে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার কাজটি করে গেলেন। যেসব তরুণ নেতৃত্ব দল ছাড়ার পথ খুঁজছেন, তাঁরা এখন উৎসাহিত হবেন।’
আসলে কংগ্রেসে এ লড়াই থামল না; বরং নতুন করে শুরু হলো। শুরুতেই দল ছাড়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি সিন্ধিয়ার ব্যক্তিগত কারণগুলোর দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক। হার্ভার্ডের স্নাতক ও স্ট্যানফোর্ডের স্নাতকোত্তরের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক বেশ ভালোই ছিল। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। কিন্তু এ পরিবারের কোনো সদস্যই জ্যোতিকে রুখতে পারলেন না। কেন?
কী চেয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য? এনডিটিভির স্বাতী চতুর্বেদী জানাচ্ছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে নিজের গোনা আসন থেকে হারার পর দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। মধ্যপ্রদেশের নীতিনির্ধারণী জায়গা থেকে তিনি ছিটকে পড়েন। তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ও ‘সুপার মুখ্যমন্ত্রী’ দিগ্বিজয় সিং একযোগে লাগেন তরুণ এই নেতার বিরুদ্ধে। সিন্ধিয়া প্রকাশ্যে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এবং রাজ্য সরকারের একাধিক ব্যর্থতার ঘটনা নিয়ে সরব হন। শিক্ষকদের ভাতা দেওয়ার মতো ইস্যুতে রাস্তায় নামারও হুমকি দেন। এর বিপরীতে কমলনাথের কথা ছিল, ‘ওকে নামতে দাও।’
মধ্যপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতি ঘিরে গান্ধী পরিবার এক অদ্ভুত নীরবতায় সিন্ধিয়া তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখতে শুরু করেন। গান্ধী পরিবার মধ্যপ্রদেশেরে রাজনীতিতে সিন্ধিয়ার কাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ করেনি। সিন্ধিয়া মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য হতে চেয়েছিলেন। কমল ও দিগ্বিজয় মিলে আদাজল খেয়ে নামেন সিন্ধিয়াকে রুখতে। দিগ্বিজয়ের আন্তরিক উৎসাহে কমলনাথ ‘গান্ধী কার্ড’ খেলতে নামেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য বানানেরা প্রস্তাব দিয়ে।
এই মধ্যপ্রদেশে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিতে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। কিন্তু গত বছরের লোকসভায় বড় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে দলটি। রাজ্যের চিন্দাওয়ারা আসনে জিতে দলের মুখরক্ষা করেন কমলনাথ-তনয় নকুল নাথ। সিন্ধিয়ার কথা ছিল, রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার ভার বইতে হয় লোকসভায়। ২০১৮ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের একটি বড় প্রতিশ্রুতি ছিল কৃষকদের ঋণ মওকুফ। রাহুল নির্বাচনী সভাগুলোয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকার গঠনের ১০ দিনের মধ্যে যদি এ কাজ না করা হয়, তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পাল্টাবেন। বাস্তবে তা হয়নি। সিন্ধিয়ার কথা ছিল বিধানসভার নির্বাচনে বিজয়ের পর এ নির্বাচনে চরম বিপর্যয়ের মূলে ছিল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কিছুমাত্র বাস্তবায়ন না করা।
সিন্ধিয়া এসব বিষয় নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ভালো কোনো খবর পাননি। রাজ্যসভা নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছিল। কিন্তু কোনো আশা ছিল না দলের কাছে থেকে। তাই সিন্ধিয়া বিজেপিতে যাওয়ার মনস্থির করে ফেলেন। প্রয়াত অরুণ জেটলি সিন্ধিয়াকে ভারতের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রাজনীতিক বলে তুলে ধরেছিলেন মোদির কাছে। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের ভেতরের দ্বন্দ্বের দিকে শ্যেনদৃষ্টি ছিল বিজেপি নেতৃত্বের। এখন সময় বুঝে সিন্ধিয়াকে বগলদাবা করে ফেলল তারা। তবে নেহাত এক রাজ্যসভার সদস্য হতে সিন্ধিয়া বিজেপিতে যাচ্ছেন না; মন্ত্রিসভাতেও তাঁর স্থান হবে, এমন কথা চাউর আছে।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া চলে যাবেন, তার ইঙ্গিত অনেক আগে থেকে দিচ্ছিলেন। কিন্তু সব বুঝেশুনে পাত্তাই দেননি গান্ধী পরিবারের মা ও ছেলে। এ ঘটনায় আনন্দবাজার পত্রিকার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘মধ্যপ্রদেশে যা ঘটল, রাজস্থানে যা চলছে, উত্তরাখন্ডে ক্ষমতায় থাকাকালীন দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে প্রকাশ্য কাদা ছোড়াছুড়ি চলছিল, পাঞ্জাবে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে অসীম তিক্ততা রয়েছে, সেসব ঠেকানোর কোনো চেষ্টা কি ১০ জনপথের তরফে হয়েছে? কংগ্রেসের নেতাদের এই কোন্দল দেখে মনেই হয় না যে দেশের জন্য বা নাগরিকদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা তাঁদের রয়েছে। তাঁদের খেয়োখেয়ি দেখে মনে হয়, শুধু নিজেদের স্বার্থে রাজনীতিতে রয়েছেন। নিজেরা কে কী পাবেন, তা নিয়েই কংগ্রেস নেতারা লড়ে যাচ্ছেন সারা বছর—এই রকম একটা ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে যাচ্ছে।’ ফলে এই ঘটনার পর অন্য চার রাজ্যে ‘একে একে দেউটি’ যদি নিভতে শুরু করে, তাহলে বোধ হয় সোনিয়া-রাহুল দোষ দেওয়ার জন্য কাউকে খুঁজে পাবেন না।
২৩০ সদস্যের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কমলনাথ সরকার ১২০ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েন। এর মধ্যে ১১৪ জন কংগ্রেসের, ২ জন বিএসপির, ১ জন সমাজবাদী পার্টির এবং ৪ জন নির্দল বিধায়ক তাঁর পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন। বিজেপির পক্ষে ১০৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এখন দুটি আসন এখন শূন্য রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের পদত্যাগী ১৯ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ছয়জন মন্ত্রী আছেন। আজ তাঁদের মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করে রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের কাছে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। কিন্তু এখন নাথের গদিরক্ষাই তো প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে লেখা পদত্যাগপত্রে জ্যোতিরাদিত্য লিখেছেন, ‘বরাবরই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আমার রাজ্য ও দেশের জনগণের সেবা করা। কিন্তু আমি মনে করি, এ দলের মধ্যে সেই কাজ আর আমি করতে পারছি না।’
দলের কোনো তরুণই কি সে কাজ করতে পারছেন? এর উত্তর ‘হ্যাঁ’ দেওয়ার মতো কোনো প্রমাণ নেই।
কংগ্রেসের ভেতরে তরুণেরা যথেষ্ট জায়গা পাচ্ছেন না—এমন কথা অনেক দিন ধরেই বলা হচ্ছে। রাজ্যে রাজ্যে নবীন-প্রবীণের লড়াই চলছে। এই মধ্যপ্রদেশে তো আছে। রাজস্থানের কথাই ধরা যাক। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে সেখানে উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের দ্বন্দ্বের বিষয়টি সর্বজনবিদিত। মিলিন্দ দেওয়া বা জিতিন প্রসাদের মতো উচ্চশিক্ষিত নেতারাও হালে পানি পাচ্ছেন না। কংগ্রেসের অনেকেই বলেন, দলের সম্ভাবনাময় যেকোনো তরুণ নেতাকে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়। এটা সর্বনাশের মূলে আছে। কারও যদি একটি নিরাপদ সংসদীয় এলাকা থাকে, প্রবল জনপ্রিয়তা থাকে, তবে সেই তরুণ নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের শত্রু হয়ে পড়েন, কংগ্রেসে এমনই অবস্থা।
গত বছর লোকসভার নির্বাচনে চরম বিপর্যয়ের পর কংগ্রেস নেতা শশী থারুর অন্তর্বর্তী দলীয় প্রধান করে পরে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর মধ্যপ্রদেশে একজন স্থায়ী দলীয় সভাপতি চেয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। শশী-জ্যোতির কোনো আশাই পূর্ণ হয়নি।
লোকসভার ভোটের পর দলের শীর্ষ পদ ছাড়েন রাহুল। মা সোনিয়া আবার সভাপতি হন। এ পরিবর্তনে যেটা হলো, বয়স্করা আবার ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন। মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ কিংবা রাজস্থানের অশোক গেহলটের মতো বর্ষীয়ান নেতৃত্ব দলের অন্যতম নীতিনির্ধারক আহমদ প্যাটেলের কাছের মানুষ। প্যাটেল আবার সোনিয়া গান্ধীর মূল ভরসার মানুষদের একজন। অতএব কংগ্রেস আবার সেই পুরোনো বৃত্তে।
গত নির্বাচনে ব্যর্থতা আসলে একটা সুযোগ করে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। সব বিপর্যয়ই একটি সম্ভাবনা নিয়ে আসে। যদি কেউ সেখান থেকে শিক্ষা নেয় বা নতুন করে শুরু করার প্রত্যয় থাকে; কংগ্রেস এর কোনোটাই করেনি। সিন্ধিয়া চলে যাওয়ার ফলে দলের মধ্যে খুব বড় কোনো পরিবর্তন হবে, এমন আশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা করেন না।
আনন্দবাজার আরও লিখেছে, ‘নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ কিন্তু ভারতীয় রাষ্ট্রের চরিত্রটাই বদলে দিচ্ছেন। একে একে অনেক কিছু বদলেছেন তাঁরা। আরও অনেক কিছু বদলে দেবেন। তাঁদের হাতে সময়ও অনেকটাই রয়েছে এখনো। কিন্তু সেই সময়টাকে মোদি-শাহ কাজে লাগাতে পারুন, এমন সুযোগই দেওয়া উচিত হবে না বিরোধীদের।’ কিন্তু বিজেপি বিরোধীদের যে দলটি এক করতে পারত, সেই কংগ্রেসের নেতৃত্বই এখন মোদি-আমিত শাহদের বড় সহায়। ফলে ছিন্নভিন্ন বিরোধীরা সে সুযোগ না দিয়ে কোথায় যাবে?
এনডিটিভির সাবেক সাংবাদিক বিক্রম চন্দ্রের করা টুইট ১৩৫ বছরের এই দলটির বর্তমান অবস্থা বোঝার জন্য যথেষ্ট। বিক্রম লিখেছেন, ‘একটি দল কীভাবে নিশ্চল হয়ে যায়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ কংগ্রেস। নেতৃত্বের শূন্যতা, দায়িত্বহীনতা, পারিবারিকভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার লিপ্সা, প্রতিভার চর্চা না করা, উত্তরাধিকার নির্ধারণে ব্যর্থতা, বিশৃঙ্খল সিদ্ধান্ত—এসব কিছুই গ্রাস করেছে দলটিকে।