মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের প্রাণহানি ধামরাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া 

করোনায় জটিল হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট আরো : জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির কারণে রোহিঙ্গা সংকট আরো জটিল হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটি মিয়ানমারে ও মিয়ানমারের বাইরে অবস্থানরত ‘বাস্তুচ্যুত’ ও ‘রাষ্ট্রহীন’ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য বিশ্বকে আবারও সহায়তা এবং এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের বার্ষিকীর আগ মুহূর্তে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর এ আহ্বান জানায়।

ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। এর তিন বছর পর আজও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে ও নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিকে করেছে আরো জটিল। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণকে সাহায্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত পরিবর্তিত পরিস্থিতির নতুন চাহিদাগুলো মেটানো এবং এই সংকট সমাধানের লক্ষ্যে আরো বেশি কাজ চালিয়ে যাওয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গাদের হিসাবে তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আজ মিয়ানমারের বাইরে আছে। ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ নিবন্ধন অনুযায়ী কক্সবাজারে অবস্থান করছে প্রায় আট লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা।’

বাংলাদেশের প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে, জীবন রক্ষাকারী মানবিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে। আজ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিবন্ধিত প্রতি ১০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৯ জন বাস করে বাংলাদেশে। এই মহানুভবতার প্রতিদান হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণের জন্য নিরন্তর সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।’

ইউএনএইচসিআর জানায়, রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ সমাধান আছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশনের সব সুপারিশ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এটি সম্ভব; আর মিয়ানমার সরকারও সেটি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ইউএনএইচসিআর আরো জানায়, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজন সর্বস্তরের অংশগ্রহণ, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নতুন করে কার্যকরী আলোচনা শুরু করা এবং এর পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া। এসবের জন্য প্রয়োজন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলাফেরার ওপর বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ গ্রামে ফেরার সুব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করা।

ইউএনএইচসিআর তার বিবৃতিতে বলেছে, ‘শুধু মিয়ানমারের বাইরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করাই নয়, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আরেকটি লক্ষ্য হওয়া উচিত রোহিঙ্গাদের আশানুযায়ী তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। সে জন্য শুধু মিয়ানমারে স্থায়ী সমাধানের জন্য নয়, আশ্রয় প্রদানকারী দেশের বাইরে তাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা শরণার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য আরো কাজ করতে হবে।’

ইউএনএইচসিআর জানায়, ‘বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানসিক শক্তি ও প্রত্যয় তিন বছর ধরে কাজ করছে মানবিক কর্মকাণ্ডের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে। এই মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণের প্রতিও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সহযোগিতার হাত। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহস ও মনোবলকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাব যেন পৃথিবী তাদের ভুলে না যায়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451