অনলাইন ডেস্ক: করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া তিন দফা বন্যায় দেশের ৩৭ জেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ১২ লাখ ৭২ হাজার ১৫১ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৯৩ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রণোদনার ৯৩ কোটি টাকা কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসল ও সবজির চারা, সার বিতরণ, বীজতলা স্থাপনসহ নানা ধরনের কার্যক্রম নেওয়া হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ জন কৃষককে (লালশাক, ডাঁটাশাক, পালংশাক, বরবটি, শিম, শসা, লাউবীজ) আবাদ করতে ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। ৩৩টি জেলায় ৩৫ হাজার ১৬৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জমিতে কমিউনিটিভিত্তিক বীজতলা তৈরি করে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার চারা উৎপাদন ও বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। ২৫ জেলায় ৬১ হাজার ৬০০টি ট্রেতে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি করে সেগুলো ১৬০০ কৃষককে বিতরণ করা হবে। ৩৫ জেলায় ৫০ হাজার কৃষককে ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার মাশকালাই বীজ, ডিএপি, এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, দেশে প্রথম দফায় ২৫ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ১৪ জেলায় বন্যায় ৪১ হাজার ৯১৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় ৩৩৯ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি এবং তিন লাখ ৪৩ হাজার ৭৫৭ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ১১ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ৩৭ জেলায় ৩৪ ধরনের ফসলের এক লাখ ১৬ হাজার ৮৯৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৯৭৪ কোটি টাকা, আর ৯ লাখ ২৯ হাজার ১৩৯ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, বন্যার ক্ষতি পোষাতে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ৫২৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৭৫ কোটি টাকার প্রণোদনা কর্মসূচি প্রক্রিয়াধীন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। তারা সব সময় কৃষকের পাশে ছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৯৩ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রণোদনা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।