পাইকগাছায় অন্তঃসত্ত্বা পূর্ণিমা হত্যা এক বছর পার ।বাদী ও সাক্ষীদের নানাবিধ হুমকি।
#############################
#এফ, এম বদিউর জামান ।। পাইকগাছায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ পূর্ণিমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার ঘটনা এক বছর অতিবাহিত হলেও আসামীরা জামিনে এসে বাদী ও সাক্ষীদের নানাবিধ হুমকি অব্যহত রেখেছে। পুলিশ পূর্ণিমার স্বামী, শশুর, শাশুড়ি ও ননদ কে আসামী করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলা মুনকিয়া গ্রামের নির্মল মল্লিকের পুত্র প্রিন্স মল্লিক বটিয়াঘাটা উপজেলার ভগবতীপুর গ্ৰামের পঙ্গজ সরদারের কন্যা পূর্ণিমা কে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন সময় পূর্ণিমাকে চাপ সৃষ্টি করে টাকা-পয়সাও স্বর্ণালঙ্কার পূর্ণিমার পরিবারের কাছে দাবি করে আসছিল পূর্ণিমার স্বামী ও পরিবারের লোকজন। পূর্ণিমার বাবা পঙ্কজ সরদার বলেন আমার যতটুকু সামর্থ্য ছিল আমি ততটুকু দিয়েছি তারপরও আমার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। গত ২৭/৭/১৯ তারিখে সকালে আমার মেয়ে পূর্ণিমাকে নির্মমভাবে দরজার হাক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে গলায় রশি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে প্রিন্স ও তার পরিবার আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। লাশটি আমাদের দেখতে দেয়নি তড়িঘড়ি করে অর্ধশবদাহ করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। অর্ধপোড়া লাশটি নদীর কূলে ভেসে উঠলে কাক ও কুকুরের খাবার হয়ে দাড়াই । আমি খবর পেয়ে মামলা করি । মামলায় পাইকগাছা থানা পুলিশ ১৫/১২/১৯ তারিখে প্রিন্স,তার পিতা নির্মল, শাশুড়ি সীমা ও ননদ পপিকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র পত্র দাখিল করে । যার নং ৪৮৭ । স্বামী প্রিন্স ও ননদ পপি দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিল। সবাই জামিন পেয়ে তারা বাদী ও স্বাক্ষীদের নানাবিধ হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। সাক্ষী যুগোল সরদার জানান আসামীরা জামিনে এসে আসামী প্রিন্স ও পপি আমাকে ও বাদীকে নানাবিধ হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।