করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতাই অন্যতম উপায়। আর সে জন্যই সাম্প্রতিক কালে ব্যাপকভাবে বেড়েছে স্যানিটাইজারের ব্যবহার। বাজারে এখন নকল স্যানিটাইজারের রমরমা ব্যবসা। তবে এবার গো-মূত্রের তৈরি প্রাকৃতিক স্যানিটাইজার তৈরির উদ্ভট দাবি করেছে ভারতের গুজরাটের একটি সমবায় সংস্থা। তাদের দাবি, এই করোনাকালে এমন প্রাকৃতিক স্যানিটাইজার খুব দ্রুত জীবাণুমুক্ত করতে পারবে। যদিও তাদের এই দাবি কতোটা বাস্তব সম্মত এবং এটা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার, রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের ভিশন মিশনের উপর অনুষ্ঠিত ওয়েবিনরে এই উচ্চমানের প্রোডাক্টটি পরিবেশন করেন রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভ কাথিরিয়া। জামনগরের মহিলা কো-অপারেটিভ সোশ্যাইটির কামধেনু দিব্যা ওষুধি মহিলা মন্ডলী ‘গো-সেফ’ নামে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারজাত করতে চলেছে। এর আগে এই কো-অপারেটিভ সংস্থাটি গোমূত্র দিয়ে তৈরি গো প্রোটেক্ট নামে একটি সারফেস স্যানিটাইজার ও গো ক্লিন নামে ঘর জীবানুমুক্ত করার তরল ক্লিনার বাজারজাত করেছিল।
কামধেনু অর্থসেতুর ডিরেক্টর মনীষা শাহ জানিয়েছেন, ‘এফডিসিএ থেকে গো-সেফের লাইসেন্স পাওয়ার আশায় রয়েছি আমরা। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সেই লাইসেন্স আমরা হাতে পেয়ে যাব। তারপরই বাজারে ছাড়া হবে এই স্যানিটাইজার।’ তিনি এও জানান এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পঞ্চগব্য আয়ূর্বেদের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ শাখার নামও।
শুধু গো-মূত্র দিয়েই নয় এই স্যানিটাইজারে রয়েছে নিম ও তুলসীর মতো কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের যোগও। সমবায় সংস্থাটির বিশ্বাস, গোমূত্রের ঔষধিমূল্য এই স্যানিটাইজারে বজায় থাকবে।