বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আজকে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নারীর সম্ভ্রমহানিকে শিল্পে পরিণত করেছে। এগুলোকে তারা শিল্প মনে করছে। সরকার মুখ রক্ষা করবে কীভাবে?
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমি বারবার বলছি, এ সরকার আর বেশি দিন নেই। চারদিক থেকে কেন জানি এই সরকারের পতনের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
নাট্যকারদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কিন্তু ওরা জানে না বাংলার মাটি চৈত্র মাসে কঠিন রূপ ধারণ করে। এই মাটি যখন আপনাদের দিকে নিক্ষিপ্ত করবে জনগণ তখন কোনো জায়গায় আশ্রয় পাবেন না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, যা করেন, যা প্রতিশ্রুতি দেন সেটা মানুষ নাটক বলেই মনে করে। এই সরকারের সামান্য কিছু হালুয়া-রুটির ভাগ পাওয়ার জন্য যারা এ দেশের বরেণ্য সন্তান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক বিশাল, বীর তার বিরুদ্ধে যখন কলংক লেপন করে সেটা আবার কোন বড় নাট্যকার নয় সেটা আবার একজন বটতলার, মানুষ বলে না বটতলার উপন্যাসিক যাদের কোন জায়গা নেই কিছু টাকা দিলে পারে তারা এই সমস্ত উপন্যাস বা নাটক লেখেন।
রিজভী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি খালেদ, শামীম, সম্রাট, জেকেজি, সাবরিনা, সাহেদ এদের তো কোটি কোটি টাকা তখন নাট্যকাররা মনে করেছে আমরাও এমন একটা কাজ করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের কে বাহবা দেবে। সেটা কি হতে পারে যাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বেশি প্রতি হিংসা তিনি যাদের কে সহ্য করতে পারেনা, তাদের বিরুদ্ধে আমরা একটা কিছু করি তাহলে আমরাও শাহেদ সাবরিনা দের মতো টাকা বানাতে পারব, এই উদ্দেশ্য নিয়ে নাটক করেছেন সরকার তাদেরকে বাহবা দিচ্ছে। এই নাটক আবার কয়েকটি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে যার মালিক আবার ক্ষমতাসীন দলের নেতা অর্থাৎ তার মন্ত্রী হওয়া দরকার আর এই বস্তাপঁচা চটি নাট্যকারদের টাকা দরকার।
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সীমান্ত রক্তাক্ত হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত আপনি (প্রধানমন্ত্রী) একটাও কথা বলতে পারেন না, প্রতি দুই দিনে একটা করে মানুষ সেখানে খুন হচ্ছে বিএসএফের হাতে। আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ভারতের সাথে আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আবার নাকি রক্তের সম্পর্ক আপনি বললেন না রক্তের গ্রুপ কি এ পজেটিভ নাকি বি পজেটিভ এটাও বলে দিতে পারতেন,ভারতের এই রক্তের গ্রুপ বাংলাদেশের এই রক্তের গ্রুপ এটাও বলতে পারতেন সেটা বলেন আপনি।
মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান,যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু,সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়াও মানববন্ধনে যুব দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।