মস্কোর অনুরোধে যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে আলোচনায় সম্মত হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। আজ শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে এএফপির খবরে বলা হয়। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা মস্কোয় আলোচনায় বসছেন। গতকাল রাতে মানবিক দিক বিবেচনা করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
‘বাকু ও ইয়েরেভান তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। আলোচনার প্রস্তুতি চলছে।’
মারিয়া জাখারোভা, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজারের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচনায় বসার জন্য পুতিনের আহ্বানের পরও বিতর্কিত অঞ্চলটিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। এ সময় বেসামরিক লোকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নাগোরনো কারাবাখ নিয়ে অনেক বছর ধরে বৈরী সম্পর্ক আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। পার্বত্য অঞ্চল নাগোরনো কারাবাখ সোভিয়েত আমলে আজারবাইজানের অংশ ছিল। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এক যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সহায়তায় জাতিগত আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটি দখল করে নেয়। দুই দেশের সীমান্তে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ইয়েরেভান ও আজেরি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির পর পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় উপনীত হয়।
লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষসহ ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। আজারবাইজানের পক্ষ থেকে আর্মেনিয়ার বেশির ভাগ এলাকা দখল করার কথা বলা হয়েছে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে গতকাল আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। পুতিন তাঁদের কারাবাখ অঞ্চলে লড়াই থামানোর আহ্বান জানান এবং দ্রুত মরদেহ ও বন্দীদের বিনিময় করতে বলেন।
এর আগে জেনেভায় ফ্রান্স, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা সমস্যা সমাধানে প্রথম প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। তবে তাদের সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দুই দেশ। এরপর পুতিন নিজে আলোচনার উদ্যোগ নেন।