শুধু চীনেই নয়, গত বছরের শেষে বিশ্বের নানা প্রান্তেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা। কিন্তু বিশ্বের সামনে প্রথম কেস রিপোর্টটি তুলে ধরেছে চীন। এমন দাবি জানিয়েছে বেইজিং। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা জানালে এমন প্রতিক্রিয়া জানায় চীন।
প্রথম থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে, করোনার আঁতুড়ঘর চী উহান। সেখানকার বায়োল্যাবেই এই মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি। আরও একটি তত্ত্ব, সেখানে বলা হয়েছে উহানের অস্বাস্থ্যকর বাজারই করোনার উৎস। কিন্তু সেসব তত্ত্ব বাতিল করে দিয়েছে চীন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলছেন, করোনার বহু তথ্যই এখনও সামনে আসেনি। আমরা নিশ্চিত, গত বছরের শেষের দিকে বিশ্বের বহু স্থানে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। আমরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর বিশ্বে জানিয়ে দিই।
এদিকে মার্কিন সেক্রেটারি মাইক পম্পেও টোকিওতে মন্ত্রীগোষ্ঠীর মিটিংয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে এক হাত নিয়েছেন মঙ্গলবারই। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রে প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই পম্পেও বলেন, চীন তথ্য চেপে গিয়েছে। এর পাল্টা বার্তা দিতেই মুখ খুলেছেন চুনইং।
জনস হপকিন্সের দেওয়া তথ্য মতে, বিশ্ব করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ মিলিয়নের বেশি। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে দশ লক্ষের বেশি মানুষের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল এই তিন দেশ করোনা তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
বৃহস্পতিবারই জেনেভায় নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। জানানো হয় চীনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথাও। চীনের আরও দাবি, ২৩ জানুয়ারি চীন যখন উহানে লকডাউন জারি করে তখন উহানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র নয় জন।