কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সব শিক্ষকের স্কুল-কলেজে আসা বাধ্যতামূলক নয়। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে সরকারি এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।
গত সেপ্টেম্বরে মাউশির এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের আসার কথা বলা হয়েছিল। শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার ব্যাপারটি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন উইং জানিয়েছে, সব শিক্ষকের স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষা কার্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ আকস্মিক পরিদর্শন’ শিরোনামে পত্র জারি করা হয়। ওই পত্রে করোনাকালীন পরিদর্শন তথ্য ছকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্যর ১১ নম্বর ক্রমিকে ‘সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়মিত উপস্থিত থাকা নিয়ে বলা ছিল। এ বিষয়টি ব্যাখা সম্পর্কে নতুন চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারী বলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ল্যাব ও আইসিটি উপকরণসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ও সচল রাখা, নিয়মিত পতাকা উত্তোলন ও নামানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি মনিটরিং ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীদের বোঝানো হয়েছে, এ অর্থে সব শিক্ষক নয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি অধিদপ্তরের সব আঞ্চলিক পরিচালক, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিবের দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করে চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ হতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে অনলাইন, টিভি, বেতারে ক্লাস পরিচালনা করছেন শিক্ষকেরা। এরই মধ্য করোনাভাইরাসের কারণে এবারের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। এসব শিক্ষার্থীর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে। এ ছাড়াও চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।