ক্রিকেটে ভারতকে বেশ কয়েকবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফুটবলেও মাঝেমধ্যে জিতে এসেছে। খেলার বাইরেও সাফল্য আছে। বেশ কিছু সামাজিক সূচকে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সবশেষ জয়টা আসল অর্থনীতিতে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতকে হারিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ।
ব্যবধান যদিও খুব কম। কিন্তু পিছিয়ে পড়ার পর ভারতে এ নিয়ে অর্থনীতি ও রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, ২০২০ পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৮৮ ডলার, আর ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার।
ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ এখন। মোট জিডিপির দিক থেকে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের একটি ভারত। মোট জিডিপির দিক থেকে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের অংশ ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, আর বাংলাদেশের অংশ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সুতরাং এ দিক থেকে তুলনাই চলে না। বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের অর্থনীতি ১০ গুণ বড়। সুতরাং এত বড় এক অর্থনীতির দেশকে মাথাপিছু আয়ে পেছনে ফেলে দেওয়ার খবর এ কারণেই হয়তো অনেক বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মোদিবিরোধী শিবির প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য মোক্ষম এক অস্ত্র পেয়ে গেছে। ফলে ভারত সরকারকে এখন নানাভাবে ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর টুইটের কথা এখানে বলা যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আইএমএফের প্রাক্কলন দেখাচ্ছে যে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। যেকোনো উদীয়মান অর্থনীতির ভালো করাটা সুসংবাদ। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, পাঁচ বছর আগেও যে ভারত ২৫ শতাংশ বেশি এগিয়ে ছিল, সেই ভারত এখন পিছিয়ে যাচ্ছে। এখন ভারতের প্রয়োজন একটি সাহসী আর্থিক ও মুদ্রানীতি তৈরি করা।’