বাগেরহাটে পূজামণ্ডবগুলোতে দেবী দুর্গাকে নানাভাবে আরাধনা করা হচ্ছে। শুক্রবার মহাসপ্তমীতে ফুল-বেলপাতা, ধূপ-দ্বীপ আর নানা ধরণের ভোগ সাজিয়ে পূজা-অর্চনা করা হয় মা দুর্গার। ঢাকের বাজনা, শঙ্ক আর উলুধ্বনীতে মুখোতির হয়ে উঠেছে পূজামণ্ডপগুলো। তবে পূজা হচ্ছে উৎসব নেই মণ্ডপগুলেতে।
শুক্রবার সকালে বাগেরহাট শহরের শালতলা কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দির, র্যাধ্যেশ্যাম মন্দির, দশানী, মুনিগঞ্জসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডবে গিয়ে দেখা গেছে, ভক্তরা মা দুর্গাকে নানাভাবে আরাধনা করছেন। বৈশ্বয়িক মহামারি করোনা থেকে মুক্তিপেতে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করছেন ভক্তরা। মহামারি করোনাভাইরাস আর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মুসলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে ভক্তকুলের মনে আনন্দ নেই।
বাগেরহাট জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অমিত রায় জানান, বাগেরহাট জেলায় এবছর ৬২১টি পূজামণ্ডবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবছর শুধুমাত্র পূজা হচ্ছে। করোনামহামারীর কারণে কোনো ধরণের উৎসব হচ্ছে না। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে অসহায় দরিদ্র নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, পূজামণ্ডবগুলোতে পুলিশ টহল দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার মহাষ্টমী, রবিবার মহানবী এবং সোমবার দশমীতে দর্পণ বিজ্জনের মধ্যে দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব শেষ হবে। এ বছর মা দুর্গা দোলায় চড়ে কৈলাস থেকে মর্তলোকে এসেছেন। পাঁচ দিনের পূজা-অর্চনা শেষে গজে চড়ে আবার কৈলাসে ফিরে যাবেন।