বরিশালের বাবুগঞ্জে এক কেজি ওজনের পাঁচটি ইলিশ মাত্র দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সুগন্ধা, সন্ধ্যা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পারে এ দামে মাছ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারা। বেশি মুনাফার আশায় এক শ্রেণির অসাধু জেলে নদীতে মাছ শিকার করছেন। কোনো অভিযানেই থামানো যাচ্ছে না মা ইলিশ ধরা ও বেচাকেনা। মাছ কিনতে নদীর পারে ব্যাগ ও বস্তা নিয়ে ক্রেতাদের আনাগোনা চলছে। নদীর পার থেকেই মাছ কিনে বস্তা বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। অভিযান একপাশে চললে অন্য পাশে চলে জেলেদের মাছ ধরা ও বেচাকেনা।
জানা যায়, সুগন্ধা নদীর দেহেরগতি ইউনিয়নের উত্তর দেহেরগতি ও দক্ষিণ দেহেরগতি, বাহেরচর বাজার, সন্ধ্যা নদীর জাহাঙ্গীরনগর ও কেদারপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গার মুখ, রমজানকাঠী, শিলন্দিয়া, মোল্লারহাট বাজার, ছানিকেদারপুর, স্টিমারঘাট, পূর্ব কেদারপুর, পশ্চিম ভূতেরদিয়া, আড়িয়াল খাঁ নদীর রহমতপুর ও চাঁদপাশা ইউনিয়নের রাজগুরু, নয়াচর, সিংহেরকাঠী, নোমর হাট, ছোট মিরগঞ্জ, রফিয়াদি এলাকার সব স্পটে মাছ অবাধে নিধন চলছে। এক কেজি সাইজের ইলিশের হালি (৪টি) ১৬০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ত্রেতারা গোপনে মাছ কিনে ফ্রিজে রাখছেন। এমনকি বিভিন্ন মাছের আড়তদারের কাছে বিক্রিও করছেন। জেলেরা রাতের আঁধারে মা ইলিশ শিকার করে গোপনে বিক্রি করেন। অগের চেয়ে অনেক কম দামে এ ইলিশ বিক্রি করছেন তারা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সায়েদুজ্জামান বলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা তিনটি নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় একদিকে অভিযান চালালে অন্য প্রান্তে জেলেরা নদীতে জাল ফেলছে। তিনি আরো বলেন, নদীতে অভিযান চালানোর সময় এক শ্রেণির অসাধু জেলের নিয়োজিত লোক নদীর পারে পাহারা বসিয়ে রাখছে। আমরা অভিযানে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোনে তাদের খবর পৌঁছে দেওয়ার কারণে অসাধু জেলেদের ধরা যাচ্ছে না।