গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের নারীরা গরু খামারের গাভীর দুধ বিক্রি
করেই এখন আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি সাঘাটা ও ফুলছড়ি
উপজেলার মানুষও এখন চরাঞ্চলে উৎপাদিত এই দুধেরই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
এসকেএস ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইউকেএইড অর্থায়নে রি-কল প্রকল্পের
অধীনে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৬’শ জন নারীকে প্রশিক্ষণ, উপকরণ ও
আর্থিক সহায়তা দিয়ে গাভী পালন ও দুধ উৎপাদনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে
তুলেছে। ওইসব নারীরা তাদের প্রতিপালিত গাভী থেকে উৎপাদিত দুধ ১২টি
দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে বিক্রি করে থাকে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০ জনের দুধ
উৎপাদক দল রয়েছে। তেমনি একটি ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ পিপুলিয়া দুধ
সংগ্রহ কেন্দ্র।
ফুলছড়ির দক্ষিণ পেপুলিয়া সমাজ ভিত্তিক সংগঠনের ৫০ জনের গ্র“প
ম্যানেজার সুবিতা বেগম রেজিষ্টার খাতা নিয়ে সদস্যদের দুধ ৩৩ টাকা
কেজি দরে ক্রয় করে তা সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার পাইকারী ব্যবসায়ীদের
কাছে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। এসব দুধ সংগ্রহ করে
ব্যবসায়িরা ফেরী করে দু’উপজেলার হোটেল, রেস্তোরা, বাসা-বাড়িতে
বিক্রি করছে তারা।
এসব নারীরা খামারে গাভী পালন করে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এতে করে
নারী নির্যাতন, বিবাহ বিচ্ছেদ, বাল্য বিবাহ কমে গেছে। এসব নারীদের
সরকারীভাবে সহায়তা প্রদান করা হলে তারা একদিন আত্মনির্ভরশীল হয়ে
সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে।