সালেকিন মিয়া সাগরঃ দামুড়হুদার বাড়াদী গ্রামে নাজমা খাতুন(২২) নামে এক নারী তার আপন মামাতো বোনের স্বামীকে নিয়ে লাপাত্তার ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে গ্রামে এখন মুখরোচক গল্পের সৃষ্টি হয়েছে।
সরে জমিনে গিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পার-কৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজমা খাতুন (টুকু)এর সাথে একই ইউনিয়নের মদনা পশ্চিম পাড়ার রাজ্জাক আলীর ছেলে নাসিরের সাথে প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়। তিন বছরের এই সংসার জীবনে নাজমা প্রায় স্বামীর অজান্তে বিভিন্ন পুরুষের সাথে শারিরিক সম্পর্কে মেতে থাকত। হঠাৎ একদিন তার স্বামী নাসিরের অজান্তে মদনা পশ্চিম পাড়ার নুরুর ছেলে জাহিদের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লে নাসির সেইদিনই নাজমাকে তালাক দেয়। তারপর থেকে সে তার পিতার গ্রাম বাড়াদী অবস্থান করে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই নাজমা বাড়িতে অবস্থানকালে তার গ্রামের একই পাড়ার ওয়াজ বক্সের ছেলে সুমনের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ আনে এবং মোটা অংকের টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। নাজমা তার অভিযোগে বলে, সুমন আমাকে বাড়িতে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এই ঘটনায় পরে গ্রামে সুমনের নামে গ্রাম্য সালিশ ডেকে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হলে গ্রাম্য মাতব্বরদের উপর রেগে গিয়ে নাজমা ও তার পরিবার কোর্টে মিথ্যা আমলা দায়ের করে। এই মামলার তদন্তভার ৩১ আগষ্ট উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমানের কাছে গিয়ে পড়ে। এরি পেক্ষিতে, মামলার তদন্ত করার আগেই গত ২৫শে আগষ্ট বৃহস্পতিবার নাজমা খাতুন তার আপন মামাতো ছোট বোনের স্বামী মদনা বাজার পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল্লাহর সাথে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় । এই ঘটনার পর থেকে গ্রামে নানান গুঞ্জন চলছে। চারিদিকে নাজমার নামে বিভিন্ন রকম কথা বাতাসে ভেসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
এই বিষয়ে আব্দুল্লাহর পরিবারের কাছে আব্দুল্লাহর খোঁজ খবর জানতে চাওয়া হলে তার বড় ভাই জসিম উদ্দীন সাফ জানিয়ে দেয় তার সাথে আমাদের পরিবারের কোন রকম সম্পর্ক নেয়। সম্পর্ক নেই ,নাকি অন্য কিছু ? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি তাদের কাছে থেকে। সর্বপরি অনুসিন্ধানে জানা গেছে নাজমা ও আব্দুল্লাহ দু”পক্ষের পরিবারের সম্মিলিত সহযোগিতায় তারা এমন অনৈতিক কাজ করতে সাহস পেয়েছে। তাই এলাকার সর্বস্থর সচেতন মহলের দাবি তাদের অতি শ্রীঘ্রই খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে সংসারে অশান্তি ও মেয়ে হয়ে আরেক মেয়ের ঘর ভাঙ্গার দায়ে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক
সালেকিন মিয়া সাগর