মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ ও প্রশাসনের হয়রানি বন্ধসহ ১১ দফা নিয়ে রাজশাহীর আট জেলায় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে বন্ধ রয়েছে এসব জেলার সকল ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন। বন্ধ রয়েছে ঢাকা-পাবনার দূরপাল্লার বাসও। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ধর্মঘটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজশাহীর অন্যান্য জেলার মতো পাবনাতেও শুরু হয়েছে ধর্মঘট। পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ জেলার সকল বাসস্ট্যান্ডগুলো বন্ধ রয়েছে। কোনো ধরনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।
সকালে পাবনার একাধিক বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, বাসগুলো টার্মিনালে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোনো ধরনের বাসের দেখা পাচ্ছেন না। স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশা কিংবা ছোট ছোট যানে রওনা দিলেও দূরের যাত্রী ও ছাত্র-ছাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
শফিকুল ইসলাম নামের ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, মনে করেছিলাম শুধু রাজশাহী অভিমুখে ধর্মঘট হবে। কিন্তু এখন তো দেখছি ঢাকাতেও যেতে পারছি না। আজকে ঢাকায় পৌঁছতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বো। রাজনীতির মারপ্যাঁচে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের কেন এমন দুর্ভোগে পড়তে হবে? আমরা কবে এর প্রতিকার পাবো? কার কাছে পাবো?
এদিকে, ধর্মঘটকে রাজশাহীর গণসমাবেশকে ঠেকানোর জন্য সরকারের নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার কালের কণ্ঠকে বলেন, দুই তিন বছরের শিশুও জানে সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ লোকজন আমাদের ৩ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ ঠেকাতে এই পরিবহনের ডাক দিয়েছেন। এতে কোনো লাভ নেই, মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কোনো বাধাই তাদের আটকাতে পারবে না। সরকারের পতন সুনিশ্চিত।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ১১ দফায় আমরা পূর্বেই আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের এই ধর্মঘট। কারো সমাবেশের জন্য এই ডাকা হয়নি।