গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ির বাইমাইল এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে।
পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠান।
নিহত আরজিনা এলাইচ লিজা টাঙ্গাইল জেলার গোপালগঞ্জ থানার আলম নগর এলাকার আনছার আলীর মেয়ে। তিনি স্বামীসহ কোনাবাড়ী বাইমাইল এলাকার চান্দু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। নিহত লিজা একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে স্থানীয় চান্দু মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, টাঙ্গাইল জেলার গোপালগঞ্জ থানার আলমনগর এলাকার শুপু মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ রানার সঙ্গে একই থানার আনছার আলীর মেয়ে লিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কোনাবাড়ির বাইমাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে মাসুদ রং মিস্ত্রী ও লিজা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
অভিযুক্ত মাসুদ প্রায় সময় কোন কাজ কর্ম করতেন না। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এরই জেরে রোববার ভোরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিজার গলা কেটে তার স্বামী মাসুদ পালিয়ে যান।
এসময় ওই বাড়ীর অন্যান্য ভাড়াটিয়া লোকজন লিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ার সেখান থেকে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে লিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, সিআইডি ও পিবিআই এর উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী মাসুদ রানা পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।