বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মধ্যকার ঢাকা টেস্টে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে পেসারদের দাপটে লণ্ডভন্ড আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। ১০০ রানের আগেই ৭ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগার পেসাররা। আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এবাদত হেসেন। ৬ রান করা নাসির জামালের উইকেট তুলে নেন। আফছার জাজাই ও কনকাসন সাব বাহির শাহকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল ইসলাম। দলের পক্ষে সর্ব্বোচ্চ ৩০ রান করা রহমত শাহকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার আর মাত্র ৩ উইকেট।
শুক্রবার তৃতীয় দিন শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ করেছে দুই উইকেটে ৪৫ রান। তৃতীয় দিন আলোকসল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের ২৪ মিনিট আগে বন্ধ হয়ে যায় তৃতীয় দিনের খেলা। সারা দিনে খেলা হয়েছে মোট ৬৮ ওভার। এর সঙ্গে ইনিংস বিরতির জন্য কাটা গেছে ২ ওভার।
৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৫ রান। ইতিহাস গড়ে জয়ের জন্য তাদের করতে হবে আরও ৬১৭ রান। হাতে আছে ৮ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের বাকি সময় ৫৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে আরও ২৯১ রান যোগ করে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১২৪ ইনিংস। দুই ইনিংস মিলে তার সংগ্রহ ২৭০ রান৷ এটিও এক ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শান্তর পর তিন অঙ্কের দেখা পান মুমিনুল হক৷ দীর্ঘ ২৬ মাস ও ২৬ ইনিংস পর সেঞ্চুরি করেন তিনি। ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট শতকে ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এছাড়া জাকির হাসান ৭১ ও অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৬৬ রান৷
বিশাল লক্ষ্যের ইনিংসের প্রথম বলেই ইব্রাহিম জাদরানকে এলবিডব্লিউ করেন শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে আব্দুল মালিককে ফেরান তাসকিন আহমেদ। পরে তাসকিনের বাউন্সারে মাঠ ছেড়ে যান হাশমতউল্লাহ শাহিদি। রহমত শাহ ও নাসির জামাল দিনের বাকি অংশ কাটিয়ে দেন।