কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূৃর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে রাত তিনটার দিকে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের অন্তত ১০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
সূত্র জানায়, ঢাবি সূৃর্যসেন হলের ২০৪ ও ২১৩ নম্বর রুম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের।
কিন্তু ওই রুমে কর্মীদের সিট দিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারীরা। গতকাল মধ্যরাতে শয়নের অনুসারীরা তাদের কর্মীদের ওই রুমে সিট দিতে চাইলে বাধা দেয় সৈকতের অনুসারীরা। এ সময় ওই রুমে কর্মীকে সিট দিতে না পেরে ক্ষেপে যায় শয়নের অনুসারীরা। পরে হলের অন্যান্য রুম থেকে জোড় পূর্বক সৈকতের অনুসারীদের বের করে দেয়। এক পর্যায়ে সৈকতের অনুসারীরা হলের নিচে অবস্থান নিয়ে শয়নের অনুসারীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করে। কিন্তু শয়নের অনুসারীরা আলোচনায় রাজি না হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সৈকতের অনুসারীরা সংখ্যায় কম হওয়ায় তাদের হল থেকে বের দিয়ে হলে গেটে তালা মেরে দেয় শয়নের অনুসারীরা। পরে রাত তিনটার দিকে পৃথকভাবে ঘটনাস্থলে আসেন শয়ন ও সৈকত। তারা এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল (ঢামেক) চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ হামলায় শয়নের গ্রুপ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মনির আহমেদ, ওমর ফারুক, তুষার হোসেন, মাহফুজ রহমান, রাকিব সরকার, মিনহাজ, তৌফিক, মুহসীন খান, শাহপরাণ। অন্যদিকে সৈকতের গ্রপ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আরিফুর রহমান যুবরাজ, আব্দুল্লাহ খান শৈশব, মুন্না মিয়া, অমিত হাসান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, রুম দখল নিয়ে ঝামেলা হলেও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মূলত এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। শয়নের অনুসারীরা সৈকতের অনুসারীদের রুমে শিক্ষার্থী শিফট করতে চায়। এ নিয়ে জামেলা সৃষ্টি হলে সৈকতের অনুসারীরা আলোচনায় বসতে চাইলেও শয়নের অনুসারীরা বসতে চায়নি। এ কারণে মূলত ঝামেলাটা বড় হয়েছে। পরে সৈকত ও শয়ন ভাই এসে জামেলা মিমাংসা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া কালবেলাকে বলেন, গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। হলের হাউজটিউটররা বিষয়টি দেখছেন। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।