হজের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৬০টির বেশি দেশের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করবেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন হজ পালন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশটির হজ ও ওমরাহমন্ত্রী ডা. তৌফিক আল-রাবিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মেহমানদের স্বাগত জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করার পর তিনি এই তথ্য জানান।
এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজযাত্রীদের সেবা দেবেন জানিয়ে হজ ও ওমরাহমন্ত্রী বলেন, কিছুদিনের মধ্যে বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম পবিত্র স্থানে লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর করবেন। হজ পালনে আল্লাহর মেহমানদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে সরকার ও সৌদির জনগণ অংশ নেবে।
দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে সবকিছু পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।
পবিত্র স্থানগুলোতে পরিবহন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে আল-রাবিয়া জানান, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফার মতো স্থানগুলো একটি সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য থাকবে ট্রেন ও বাস। মন্ত্রী হজযাত্রীদের জন্য করা বিস্তৃত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও কথা বলেন। সব জায়গাতেই, বিশেষ করে মিনায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা।
আল-রাবিয়া জোর দিয়ে বলেন, তার মন্ত্রণালয় আল্লাহর অতিথিদের স্বস্তি নিশ্চিত করতে ও হজে একটি সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। এ ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরেই পরিশ্রম করছে সৌদি সরকার। উল্লেখ্য, ২৭ জুন মক্কার আরাফাত ময়দানে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।