বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও ২৭ জুলাই ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিমের বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় ইসলামী আন্দোলন। ওইদিন দুপুর আড়াইটায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট সংলগ্ন স্থানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া উপকমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহীদুল ইসলাম কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীমের বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজ্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশ হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা সভা হয়। সভায় আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) প্রতিবাদ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটের রাজধানীতে মহাসমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। ওইদিন একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনও বৃহস্পতিবার তারা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে।
শহীদুল ইসলাম আরও জানান, সভায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশ ও সম্মেলন সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। কিন্তু শান্তিপূর্ণ ও একান্ত ঘরোয়া কর্মসূচি পালন করতে না দিয়ে সরকার জনগণের মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারা দেশে থানায় থানায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন কার্যক্রম চলছে। একান্ত ঘরোয়া এবং সাংগঠনিক কর্মসূচির মধ্যেও দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মুফতি ফয়জুল করীমের সঙ্গে প্রশাসনের চরম স্বৈরাচারী আচরণ সরকারের বাকশালী মনোভাবকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি জানান, সভায় আরও বলা হয়, সাংগঠনিক অফিসের কার্যক্রমেও সরকার বাধা দিয়ে দেশে পরিকল্পিত সংঘাত সৃষ্টি করতে চায়। সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে চরম হতাশায় ভুগছে। এজন্য পুলিশ দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং নেতৃবৃন্দকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে, পুলিশ বা প্রশাসন দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বানচালের পরিণতি ভালো হয় না।