লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গত এক মাসে বেসরকারি হাসপাতালের অবহেলা ও ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় তিন প্রসুতিসহ ৪জনের মৃত্যুর অভিযোগে ৫ চিকিৎসকের উপর অপারেশনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
রামগঞ্জ আল ফারুক হসপিটালের ডাক্তার ফারজানা তালুকাদার ন্যান্সি, একই হসপিটালের ডাক্তার তাওহিদা আক্তার, রামগঞ্জ আধুনিক হসপিটালের ডাক্তার মোঃ রকিবুল হাসান, পপুলার হসপিটালের ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদাউস ইতি ও ফেমাস হসপিটালের ডাক্তার মাহবুবা হক মিতুসহ ৫জন ডাক্তার কোন ধরনের মেজর অপারেশন করতে পারবেন না।
সুত্রে জানা যায়, ১৭ জুলাই রামগঞ্জ বাইপাস সড়কের আল ফারুক হাসপাতালের অবহেলা ও ডাক্তার ন্যান্সির ভুল চিকিৎসায় প্রসুতি নাজমা আক্তারসহ নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়।
এর আগে উপশম হাপাতালে সিজারের আগে এ্যনেসথেশিয়া না করেই অপারেশন করায় ফাতেমা বেগম ও আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নাজমা আক্তারের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও ইসলামিয়া হাসপাতালে মাহাদি নামে তিন বছরের এক শিশুর সুন্নতে খৎনা করার সময় ভুল চিকিৎসায় পুরুষাঙ্গ হারায়। উপশম হাসপাতালে ভুল চিবিৎসায় মৃত্যুবরনকারী লামচর চৗকিদার বাড়ির মৃত মোঃ আমির হোসেনের মেয়ে ফাতেমা বেগমের আত্মীয়রা জানান, মৃত্যুর আগে ফাতেমা বলে গেছেন সিজারের আগে ভুলে তাকে এ্যানেসথেশিয়া করা হয়নি।প্রচন্ড ব্যাথায় চিৎকার করলে তার হাত মুখ চেপে অপারেশন করা হয়।
অপারেশনের পর ফাতেমার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার নাজমুল হক কর্তৃপক্ষকে বলেন, হসপিটাল বাঁচাতে চাইলে তাড়াতাড়ি ফাতেমাকে কুমিল্লা প্রেরন করে দেন। পরে তার স্বামী রিক্সা চালক মনর আলি কুমিল্লা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আল ফারুক হাসপাতালে নবজাতকসহ মৃত্যুবরনকারী নাজমা আক্তারের মেয়ে জ্যোতি আক্তার জানান, ডাক্তার ন্যান্সি ভুল চিকিৎসায় এবং হাসপাতালের অবহেলা মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাদের উপযুক্ত বিচার হওয়া জরুরি।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার জানান, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুসহ বিভিন্ন অভিযোগে এবং কাগজপত্র না থাকায় ৫জন চিকিৎসককে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। এছাড়া কাগজপত্র বিহীন হসপিটালগুলোকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ ব্যতিত কোন চিকিৎসক মেজর অপারেশন করাতে পারবেন না।