গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া ননগেজেটেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে
ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বাহাদুরপাড়া ননগেজেটেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন
আকবর কেয়ার বাংলাদেশ থেকে চাকুরি ইস্তাফা দিয়ে তার পিতা আব্দুর রহিম বক্সের দান করা সম্পত্তিতে প্রায় ৪০
মিটার দৈর্ঘ্য টিনের চালা ও বেড়ার ঘর তুলে প্রাথমিক স্কুল হিসেবে বিগত ২০১১ সালের ৮ আগষ্ট প্রধান শিক্ষক পদে
যোগদান করেন। এমনকি পরদিনই তার পতœী মোছা. নাছরিন আক্তারকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার পদে যোগদান
করান।
প্রাপ্ত নথিপত্র সুত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র মোতাবেক প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের জম্ম তারিখ ১৯৭১
সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার মূল সনদপত্র অনুযায়ী তার জম্ম ১৯৬৮ সালের ১৬ সেপ্টম্বরে। ওই সময়
জাতীয় পরিচয়পত্র মোতাবেক তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর ৯ মাস ২৮ দিন। অথচ এসএসসি পরীক্ষার মূল সনদপত্র অনুযায়ী
বয়স ছিলো ৪২ বছর ৯ মাস ২৮ দিন।
অপরদিকে তার স্ত্রী নাছরিন আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জম্ম তারিখ ১৯৭১ এর ১৬ জুন। অথচ এসএসসি
পরীক্ষার মূল সনদপত্র অনুযায়ী জম্ম তারিখ ১৯৭৫ এর ৭ জুলাই। এতে করে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ৩৬ বছর ২৮
দিন। অথচ মূল সনদপত্র অনুযায়ী তার বয়স দেখা যায় ৩৫ বছর ১১ মাস ২৮ দিন।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল তারিখের সংশোধিত পরিপত্রের ৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান
শিক্ষকের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছর এবং সহকারী শিক্ষিকার বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর হওয়া কথা। পরিপত্র অনুযায়ী দেখা যায়,
উভয়েই অবৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে সরকারী বেতনভাতা উত্তোলন করছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন আকবর বলেন, এভাবে আর কতদিন চলবো। এটা করার
ইচ্ছাই ছিলো না। স্থানীয় এমপি সাহেব সবকিছিু করে দিবেন বলে আমাকে দিয়ে স্কুলটি দাঁড় করিয়েছেন। এখন
এসব বাদ দিয়ে গরুর খামার করে সংসার চালানোর ইচ্ছে করে। তিনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২২০ জন বললেও
সরেজমিনের গিয়ে ৬৯ জনকে দেখা যায়। তিনি আরো বলেন, স্কুলের চতুর্দিকে ব্র্যাক স্কুল থাকায় আমার অধিকাংশ
শিক্ষার্থী সেখানে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ওই বিদ্যালয়টি এখনও
গেজেট ভুক্ত হয়নি। তবে তৃতীয় পর্যায়ে গিয়ে যাচাই বাছাই করার সময় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এখনও
দ্বিতীয় পর্যায়ের যাচাই বাছাই শুরু হয়নি। এসব বিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে কবে কি হবে তা অনিশ্চিত বলে জানান
তিনি।