সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে তৃষার মা নিলুফার ইয়াসমিন, সৌরভের মা ম্যাকুয়েল সরকার, লামিয়ার মা ফেরদৌসী আক্তার ও শর্মিষ্ঠার বাবা ডা.দীনবন্ধু মন্ডল তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
ডা. লামিয়ার মা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, ‘লামিয়ার আড়াই বছরের একটি শিশুসহ দুটি সন্তান রয়েছে। শিশুরা তাদের মাকে খুঁজছে, একটি শিশু বুকের দুধ পান করে।
শুক্রবার খুলনার তিন নারী চিকিৎসকসহ পাঁচ চিকিৎসকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তুলে নিয়ে যান। গেল ৭২ ঘণ্টায়ও তাদের সন্ধান মেলেনি। এর মধ্যে মেডিক্যাল প্রশ্নপত্র ফাঁস অভিযোগে কলেজে ভর্তি কোচিং থ্রি ডক্টরসের উপদেষ্টা ও মালিক ডা. ইউনুস উজ্জামান খান তারিমকে আটক করে সিআইডি। খুলনা সদর থানা পুলিশের ওসি হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে নিখোঁজ চার চিকিৎসকের সন্ধান চেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখা। রবিবার রাতে পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসকদের খুঁজে বের করার দাবি জানানো হয়।
বিএমএ খুলনা জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ‘তিন দিন ধরে নিখোঁজ চার চিকিৎসকের সন্ধান চেয়েছি। তারা কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সেটি আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কিন্তু কোনভাবেই আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তিন দিন ধরে নিখোঁজ বা কাউকে আটকে রাখা যায় না। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু এখানে কী হচ্ছে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।’