রাজধানীবাসীর জন্য নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। খুলে দেওয়া হয় বহুল কাঙ্ক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। সদ্য চালু হওয়া এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহন চলছে না। যত গাড়ি চলছে তার বেশির ভাগই প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। যাত্রী ওঠানামার সুযোগ নেই বলে উঠছে না বাস, মিনিবাস। এই খরা কাটাতে আজ থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলবে বিআরটিসি বাস।
আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে আটটি বাস দিয়ে শুরু হচ্ছে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিরতিহীন সেবা। ‘শাটল সার্ভিস’ হিসেবে চলবে এসব বাস। অর্থাৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বাস চলবে। অন্য পথে চলবে না।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে বাসপ্রতি ১৬০ টাকা টোল দিতে হলেও বাসের যাত্রীদের আপাতত বাড়তি ভাড়া দিতে হবে না। ঢাকার অন্যান্য বাসের মতো কিলোমিটারে ২ টাকা ৪৫ পয়সা ভাড়া দিতে হবে।
বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের খেজুরবাগান থেকে যাত্রা করবে বিমানবন্দরগামী বাস। বাসটি বিজয় সরণি ফ্লাইওভার হয়ে এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে। তারপর বিরতিহীন যাবে। পথে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না। বিমানবন্দর র্যাম্প দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেস থেকে নামবে।
তিনি আরও জানান, এ পথে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। তবে উত্তরার জসিম উদ্দীন মোড় পর্যন্ত গেলে দিতে হবে ৪০ টাকা।
গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে চলছে যানবাহন। এই পথে সময় লাগছে মাত্র ১২ থেকে ১৩ মিনিট। কিন্ত এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার পর র্যাম্পের মুখে যানজটে পড়তে হচ্ছে।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলের অনুমতি না থাকায় সাধারণ যাত্রীরা এই উড়াল মহাসড়কের সুবিধা পাচ্ছেন না।