বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জের সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হবে। ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোড মার্চের মাধ্যমে ১২ দিনের কর্মসূচি শেষ হবে।
দলের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সফলতা পেতে চায় বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে আছি। এখন ধারাবাহিক কর্মসূচি আসবে। একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’
অক্টোবরের কর্মসূচি কী হতে পারে জানতে চাইলে গয়েশ্বর রায় বলেন, আন্দোলনের মাঠে নামলে অনেক ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সুতরাং আন্দোলনই বলে দেবে কী ধরনের কর্মসূচি দিতে হবে। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঢাকার প্রবেশমুখে ৮ সমাবেশ
১৯ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ করবে বিএনপি। ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার আরেক প্রবেশপথ নয়াবাজার ও আমিনবাজারে সমাবেশ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ২৭ সেপ্টেম্বর সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে রাজধানীর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। এ ছাড়া রাজধানীতে ২২ সেপ্টেম্বর পেশাজীবী সমাবেশ, ২৯ সেপ্টেম্বর নারী সমাবেশ ও ৩০ সেপ্টেম্বর কৃষক-শ্রমিক সমাবেশ হবে।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সে কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা বড় জমায়েতের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারায় দলের শীর্ষ নেতা চরম অসন্তুষ্ট হন। এরপর বেশ কয়েকটি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
রোড মার্চ হবে জেলা থেকে জেলায়
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর প্রথম রোড মার্চ ভৈরব থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে গিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় রোড মার্চ হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। বরিশাল থেকে ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর রোড মার্চ হবে খুলনা থেকে। ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ ও ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে যাবে রোড মার্চ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন আইনজীবী নেতা জানান, এসব কর্মসূচির ফাঁকে ফাঁকে আদালতমুখী কর্মসূচিও চলবে।