রামগঞ্জে অটোরিক্সা ছিনতাই করতে গিয়ে চালক মোঃ রিপন (৪৫) কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ যুবককে আটক করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
আটকৃকতরা হলেন-রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের দেওয়ান বাড়ীর মোক্তার হোসেনের ছেলে আলভী দেওয়ান হৃদয় (২৪), চাটখিল উপজেলার সুন্দরপুর বড় বাড়ীর মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ সুজন (২৫) ও নোয়াখালীর চরজব্বর ইউনিয়নের পশ্চিম চর জব্বর গ্রামের আলী আজগরের ছেলে বেলাল হোসেন।
অটোরিক্সা চালক মোঃ রিপন হোসেন পৌর কাজীরখীল গ্রামের মনির উদ্দিন ব্যপারী বাড়ীর আবদুল কাদেরের ছেলে ও ৫ সন্তানের জনক।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক ও উপ পরিদর্শক কাউসারুজ্জামান জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৪টায় রামগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে অজ্ঞাত ১জন যাত্রী পৌর জগৎপুর গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রামগঞ্জ পৌর এলাকার কাজীরখীল গ্রামের মোঃ রিপন হোসেনের অটোরিক্সাটি ভাড়া করে।
রাত প্রায় ৪টায় অজ্ঞাত যাত্রীকে নিয়ে রিক্সাচালক মোঃ রিপন হোসেন আঙ্গারপাড়াস্থ রজব আলী মেম্বার বাড়ী এলাকায় গেলে অজ্ঞাত আরো ২জন যাত্রী অটোরিক্সায় চেপে বসে।
সামান্য কিছুক্ষণ পরেই অটোরিক্সা চালক মোঃ রিপন কিছু বুঝে উঠার আগেই অজ্ঞাতযাত্রীরা অটোরিক্সা চালকের চোঁখে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে অটোরিক্সাটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়।
এসময় বিভিন্নভাবে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে অটোরিক্সাটি রক্ষা করার চেষ্টা করলে ছিনতাইকারীরা তাদের কাছে থাকা দারালো অস্ত্র দিয়ে রিপন হোসেনের বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাত করে তার সাথে থাকা অটোরিক্সা ও ২হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর একই রাস্তা দিয়ে অন্য একটি অটোরিক্সা চালক যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে আহত রিপন হোসেনকে রক্তাত্ব অবস্থায় দেখতে পায়। রিপন হোসেনের মোবাইল নম্বর থেকে মারাত্মক আহত রিপনের ভাই তপন হোসেনকে ফোন দিলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে তার ভাই রিপন হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে যায়।
আজ সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপন হোসেন মারা যায়। রামগঞ্জ ও রায়পুর থানার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ সাদি জানান, ঘটনার পরপরই রামগঞ্জ থানা পুলিশের একদল চৌকস কর্মকর্তারা তদন্তে নেমে পড়ে।
তদন্ত শেষে গতকাল রবিবার রাতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আলভী দেওয়ান হৃদয় নামের একজনকে ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে সহযোগি দুইজনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটকৃকত তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।