আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো ভিসানীতির প্রয়োগ বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। পরোয়া করে দেশের জনগণকে। কোনো দেশের ভিসানীতি বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রে কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না। জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই দেশের গণতন্ত্রের পথরেখা নির্ধারিত হবে।
আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এ বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা রেখেই সরকার পরিচালনা করে আসছে। জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো ধরনের অপতৎপরতাকে প্রতিহত করবে দেশের জনগণ।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন। বিএনপি নেতাদের মনে রাখা উচিত তারা কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেননি। বরং শেখ হাসিনার উদার মানবিকতার কারণে খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও নিজ বাসায় বসবাস করছেন এবং নিজের পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন। এ কারণে বিএনপি নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু বিএনপি তা না করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। একই সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে আইনবিরোধী কথাবার্তা বলছে।
গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে গায়ের জোরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দাবি আদায়ের জন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন এবং রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা থেকে সরে আসুন। জাতিকে বিভক্ত করার দুরভিসন্ধি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক চেতনা ও সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার দায় তাদের নিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করলে যেকোনো উপায়ে তা প্রতিহত করা হবে।