বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এখন বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে। রপ্তানি আয়ের অধিকাংশ উপার্জন পোশাকশিল্প থেকে আসে। এই শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। শনিবার ৪ নভেম্বর দুপুরে সাভার নবীনগর র্যাব -৪ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মইন।
শ্রমিক আন্দোলন কে পুঁজি করে যেকোনো ধরনের নাশকতা করলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি আরও বলেন,যারা গার্মেন্টস অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে, তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে ও ধরতে অভিযান চলছে। তাদেরকে অব্যশই আইনের আওতায় আনা হবে। কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এক শ্রেণীর মানুষ গার্মেন্টস লিল্পের ধংসের পায়তারা করছে শ্রমিকদের কোন প্রকার গুজবে কান না দিয়ে কাজে যোগদান করার আহবান জানান ।
তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকরা গত ২৮ অক্টোবর থেকে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। কিন্তু একটি মহল শ্রমিকদের ভুল তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যার কারণে গত বুধবার মিরপুরে সহিংসতা ও নাশকতা হয়।
চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাব কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, গোয়েন্দা কার্যক্রম ও সাইবার ওয়ার্ল্ডে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এসময় র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ব পরে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।