দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের এক পরমাণু বোমায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল জাপানের পুরো হিরোশিমা শহর। এবার সেই বোমার চেয়ে ২৪ গুণ শক্তিশালী বোমা বানানোর তোড়জোড় শুরু করেছে মার্কিন সরকার। নতুন এই বোমার একটি যদি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় নিক্ষেপ করা হয় তাহলে তিন লাখ মানুষ নিহত হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১৯৪৫ সালে হিরোশিমা শহরে বি-৬১ নামের একটি পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এত বছর পর এবার এই বোমাকেই আধুনিক রূপ দিয়ে সামনে নিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন এই নয়া পারমাণবিক বোমটি বি৬১-১৩ মডেলের। এই বোমার ক্ষমতা ৩৬০ কিলোটন। আর হিরোশিমায় ফেলা বোমার ক্ষমতা ছিল ১৫ কিলোটন। সেই হিসাবে হিরোশিমায় ফেলা বোমার ২৪ গুণ বিধ্বংসী নতুন এই বোমা।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন প্লাম্ব বলেছেন, শত্রু দেশের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশের নিরাপত্তা জোরদার করতেও এটা জরুরি। এ ছাড়া মার্কিন মিত্রদেরও ভরসা জোগাবে নতুন এই পরমাণু বোমা। নতুন এই বোমা আধুনিক যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে শত্রুঘাঁটিতে নিক্ষেপ করা যাবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
একটি সূত্রের বরাতে নিউজউইক জানিয়েছে, যদি এই বোমা মস্কোয় নিক্ষেপ করা হয় তাহলে তিন লাখের বেশি মানুষ নিহত হতে পারে। এই বোমা যেখানে ফেলা হবে সেখানকার এক মাইলের মধ্যে সব ভবন মাটির সঙ্গে মিশে যাবে এবং সব মানুষ মারা যেতে পারে। আর দুই মাইলের মধ্যে যারা থাকবে উচ্চ স্তরের বিকিরণের কারণে এক মাসের মধ্যে তারাও মারা যাবে। এ ছাড়া এ বোমা হামলা থেকে যারা বাঁচবেন তাদের ১৫ শতাংশ পরবর্তী জীবনে ক্যানসারে মারা যাবে।
সম্প্রতি সর্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) বাতিল করে দিয়ে আইন পাস করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর ফলে রাশিয়ায় নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে আর কোনো বাধা নেই। পুতিনের এমন পদক্ষেপের পরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন বোমা বানানোর খবর সামনে এলো।