মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (৩১ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
শনিবার (১ জুন) থেকে আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই আগমুহূর্তে শেষ সুযোগ হিসেবে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক নিয়ে গেছে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
অভিযোগ রয়েছে, বিদেশ থেকে শ্রমিক আনার পর তাদের বিমানবন্দর থেকে পুনর্বাসন করছে না নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে নতুন করে আসা শ্রমিকদের অনেকেই আটকা পড়ে আছেন বিমানবন্দরে। সেখানে এখন তিলধারণের ঠাঁই নেই।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে মালয়েশিয়ায় আসা হাজার হাজার শ্রমিকের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। তাদের যেসব চাকরির লোভ দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে তা হয়তো ভুয়া। তারা প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন।
শ্রমিক অধিকারকর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দালালরা ভুয়া চাকরির লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসত। শুধু এ কারণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তবে এই দালাল এবং প্রতারকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি।
ফলে গত কয়েকদিনে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক তাড়াহুড়া করে মালয়েশিয়ায় গেছেন তারা প্রতারণার শিকার হতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধিকারকর্মীরা।
অ্যান্ডি হল নামে এক অধিকারকর্মী বলেছেন, এই শ্রমিকদের বেশিরভাগই আধুনিক দাসত্বের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এসব শ্রমিক অবশ্যই ভুয়া চাকরিদাতা এবং ভুয়া চাকরির প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে এসেছেন। যেগুলোর ব্যবস্থা করেছে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা, এজেন্সি এবং দালালরা।