ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সবাই যখন পশুসহ অন্যান্য কেনাকাটায় ব্যস্ত
তখন ঈদের আনন্দ দুরের কথা সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে সমাজের দুস্থ
ঝিনাইদহের শৈলকুপার বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্ত সুমি খাতুন, আকলিমা
খাতুন, আলেয়া খাতুনদের। গত ঈদের মতই এবারের ঈদেও বেতন পাচ্ছেনা
ঝিনাইদহের শৈলকুপার এলজিইডি’র ১৪০ নারী কর্মী ।
ঝিনাইদহ জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও একই অবস্থা। এ নারী কর্মীরা সামান্য
বেতনে রাস্তা সংস্কারের কাজ করলেও তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয় না
নিয়মিত ।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে,
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আর.ই.আর.এম.পি-২ প্রকল্পের অধিনে এর
নারী কর্মীরা রাস্তা সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন করে থাকে। তারা প্রতিদিন ১৫০
টাকা হারে বেতন পায়। যা থেকে ৫০ টাকা আবার তাদের সঞ্চয়ি হিসাব
নাম্বারে জমা থাকে।
শৈলকুপায় প্রতি ইউনিয়নে দশজন করে ১৪টি ইউনিয়নে ১৪০জন সহ
ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় রয়েছে এলজিইডি’র রাস্তা সংস্কার ও পরিস্কারের
দায়িত্বে থাকা ৬৭০ নারী কর্মী। তাদের সবার অবস্থা এক। ঈদে বেতন না
পাওয়ার শঙ্কায় তাদের চোখে মুখে দেখা গেছে হতাশার ছাপ।
শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের সুমি খাতুন, সারুটিয়া
ইউনিয়নের আকলিমা খাতুন, আবাইপুর ইউনিয়নের আলেয়া খাতুন সহ এ
নারী কর্মীদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, সামান্য বেতনে তারা কাজ করে।
গত ঈদে তারা বেতন পায়নি। এ ঈদেও তারা বেতন পাবে না বলে তাদের ধারনা।
কাজ করে উৎসবে বেতন না পাওয়ায় তাদের সন্তানদের জন্য কিছু করতে না
পারার কষ্ট তাদের চোখেমুখে।
শৈলকুপার দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি অর্গানাইজার মোঃ ফজলুল হক
বলেন, রাস্তা সংস্কারের এ নারী কর্মীরা গত ঈদে বেতন পায়নি। এ ঈদেও তাদের
একই অবস্থা হতে যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, আমার
মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠিয়েছি। দাতা সংস্থার টাকায় এদের বেতন দেওয়া হয়।
টাকা আসলেই এদের বেতন পরিশোধ করা হবে।