লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বামনী ইউনিয়নের (সাবেক) ও সোনাপুর ইউনিয়নের তহসিলদার ওমর ফারুকেরর বির”দ্ধে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বামনী ইউনিয়নে তহশিলদার থাকাকালীন “খ” তফশিল বর্ণিত জমাখারিজ-১৫-১৬ইং সালের খারিজ বাবদ ৫২ জন ব্যাক্তির কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ¯’ানীয় এলাকাবাসী। সে তহশিলদার থাকাব¯’ায় বর্তমানে রাজধানীর নামি-দামি জায়গায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ী রয়েছে বলে জানায় নাম প্রকাশে অনি”ছুক একাধিক সহকারি ভূমি সহকারী। ¯’ানীয় সূত্রে জানাযায়, বামনী মৌজার হাজী বাড়ীর সিরাজউল্যার থেকে ১ একর ভূমি জমা খারিজের জন্য ৩ লক্ষ টাকা, ঘোষ বাড়ীর তসলিম উদ্দিন থেকে ১ একর ৬ শতাংশের জন্য তিন লক্ষ, আবুল খায়েরর কাছ থেকে ৫০ শতাংশের জন্য এক লক্ষ ৫০ হাজার, সেলিমের কাছ থেকে ১১ শতাংশের জন্য ৫০ হাজার, বাংলাবাজারের মৃত আব্দুল মিস্ত্রির পুত্র আলমগীরে কাছ থেকে ১ একর ২৩ শতাংশের জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার, বিলের বাড়ীর সেকাš-র মিয়ার কাছে থেকে ১ একরের জন্য ২ লক্ষ ৭৫ হাজার, নিজামুল হায়দার, শ্রী রবিন্দ্র চন্দ্র রায়, সফিক উল্যা মুন্সি, সুফিয়া খাতুন, জালাল আহম্মেদ, জীবন কৃষ্ণ শীল, ছকিনা খাতুন সহ ৫০ ব্যাক্তির কাছ থেকে “খ” তফশিলের জমাখারিজ বাবদ গোপন চুক্তিতে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
নাম প্রকাশে অনি”ছুক ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও ¯’ানীয় এলাকাবাসী বলেন, তহশিলদার ওমর ফার”ক ৩ বৎসর বামনী ভূমি অফিসে কাজ করার সুবাধে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি বর্তমানে সোনাপুর ভূমি অফিসে দায়িত্ব নিয়েছেন। ¯’ানীয়রা তার বির”দ্ধে প্রথমে মুখ না খুললেও চলে যাওয়ার পরে এ অভিযোগ গুলো করেন। তারা আরও বলেন আমারা বেশি টাকা নেওয়ার কথা কাউকে বললে জমি জমা-খারিজ হবেনা এবং খতিয়ান সৃজন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তাই আমার বেশি টাকা দেওয়ার পরও কাউকে কিছু বলতে পারিনাই। তহশিলদার ওমর ফারুকের সাথে কথা হলে তিনি জামাখারিজ বাবদ ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করেন।