সাইফুল ইসলাম তালুকদার,হবিগঞ্জ থেকেঃ
উপজেলা সদরের পাকা সড়কগুলি সংরক্ষনে প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ সড়কেই বিশাল গর্ত ও খানাখন্দকে পরিনত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোন কোন সড়কে পানি জমে সড়কের আকার নিরুদ্দেশ হয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পাশ্ববর্তী বাড়ী কিংবা বাজারের পানি সড়ক ভেদ করে নীচু স্থানে নেমে আসে। ফলে নির্মিত পাকারাস্তাগুলি অল্পদিনেই ভেঙ্গে যাচ্ছে। খানাখন্দক ও ভাঙ্গা রাস্তায় জনগণকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ। তবে কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি রাস্তা সংস্কারে ঠিকাদার নিয়োগের খবর পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, বানিয়াচং উপজেলায় পাকা রাস্তার সংখ্যা প্রায় ৫০টি। সড়কগুলির একটিতেও নাই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কের সংস্কার কাজ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। বানিয়াচং উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোতাব্বির হোসেন জানান, বানিয়াচং সদরের পাকা সড়কগুলি চলাচলের অনুপযোগী। গর্ভবতী মা বোন ও অপারেশন ফেরত রোগীদের পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দূর্ভোগ। কোমলমতি শিশুসহ বিদ্যালয় মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্বিগ্নে যাতায়াত করতে পারছেনা। উপজেলার সকল স্তরের নাগরিক, সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের র্দীর্ঘ মেয়াদী দূর্ভোগ লাগবে অনতি বিলম্বে ভেঙ্গে যাওয়া সকল পাকা সড়কগুলি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট বানিয়াচং উপজেলাবাসীর পক্ষে তিনি জোর দাবী করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আল-নুর তারেক জানান ইতি মধ্যে বানিয়াচং ছিলাপাঞ্জা থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স পর্যন্ত ১৪০ মিটার গাইড ওয়াল সহ রাস্তা পুনঃসংস্কারে ৯ লাখ টাকা, ইলিয়াছ একাডেমী থেকে ভায়া মিয়াখানী শরীফ উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত ১১শ মিটার রাস্তায় ৪২ লাখ ও বাবুর বাজার থকে ভায়া কুতুবখানী ৫/৬ নং বাজার পর্যন্ত ২৬শ ২৫ মিটার রাস্তায় ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। বৃষ্টির কারনে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে পারছেনা বলে জানান তিনি।