লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: ঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বাবি নাজমা আক্তার (৩২) কে হত্যার অভিযোগে দেবর আরিফ হোসেন
(৩০) নামে একজন কে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আরিফ হোসেন বামনী
ইউনিয়নে মধ্য সাগরদী গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের হাবিব উল্যা বেপারী বাড়ীর আরব আলীর
২য় পুত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাপিলাতলী বাজার থেকে এসআই
শরীফ সঙ্গী ও ফোর্স আটক করে। শুক্রবার সকালে তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার
অপরাধে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এজহার সূত্রে জানাযায়, বামনী ইউনিয়নের মাধ্য সাগরদী গ্রামের হাবিব উল্যা
বেপারী বাড়ীর প্রাবাসী জাফর পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়েকে ১০
বছর পূর্বে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৭ ও ৪ বছরের দুুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী
জাফর সৌদি আরব থাকায় থাকার সুবাধে শ্বশুর পরিবারের সাথে বসবাস করেন।
যৌতুকের দাবিতে সময়-অসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন থেকে শ্বশুর-শাশুড়ী ও
দেবরের সাথে বিরোধ চলে আসছে। শারিরীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে।
বিরোধের সূত্র ধরে ৫ আগষ্ট রাত ১১ টার সময় ঘুমন্ত নাজমা আক্তার কে শ্বাসরুদ্ধ করে
হত্যা করে বসতঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার চালায় শ্বশুর
বাড়ীর লোকজন। গত ৬ আগষ্ট দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে
ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। সৃষ্ট ঘটনায় রায়পুর থানা
একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। যার নং- ০৯/১৬।
নাজমার বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে
একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত ওসি রায়পুরকে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহন করার নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশপ্রাপ্ত হইয়া তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা
উদ্ধসঢ়;ঘাটন করে রায়পুর থানায় আত্মহত্যা প্ররোচিত করার অপরাধে আরিফ হোসেন সহ
৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়। যাহার জিআর মামলা নং- ১৭৫/১৬।
পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার এজহারভূক্ত ১নং আসামী আরিফ হোসেনকে
বামনী ইউনিয়নের কাপিলাতলী বাজার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
রায়পুর থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, নাজমাকে হত্যার ঘটনায় তদন্তে সত্যাতা
পেয়ে মমলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার ১নং এজহারভুক্ত আসামী আরিফকে আটক করে জেল
হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।