হেলাল শেখ-ঢাকাঃ
ঢাকার সাভারে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করায় এলপি গ্যাস ও লাকড়ির দাম বৃদ্ধি করেছে ব্যবসায়ীরা।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ও দোকানে দেখা
গেছে এলপি গ্যাসের তীব্র সংকট। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে
অধিক মুনাফা। তিতাস অফিস সুত্রে জানা গেছে,সাভারে বৈধ গ্যাসের সংযোগ
রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার।এর সাথে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ এর চেয়েও বেশি আছে
আছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে,বিগত কয়েক বছরে সাভারে তিতাসের গ্যাস অবৈধভাবে প্রায় ৫৫ হাজার
সংযোগ সংশ্লিষ্ট দালালের মাধ্যমে নেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে,অসাধুচক্র প্রশাসনকে
ম্যানেজ করে গ্যাসের এসব অবৈধ সংযোগ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। এর পর ২-৩
মাস আগে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও দৈনিক বাংলার প্রতিদিন এবং দৈনিক বাংলাদেশেরপত্র
পত্রিকায় “সাভারে হাজার হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ
হওয়ায়” বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এর পর শুরু হয় অভিযান-অবৈধ সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করা হয় কয়েক হাজার। কয়েক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। সম্প্রতি
গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকার অবৈধ সংযোগ
ব্যবহারকারীদের মাঝে আতংক বিরাজ করে। সবাই ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়ে অবৈধ সংযোগ
নিজেরাই বিচ্ছিন্ন করে বলে বৈধ গ্রাহকরা জানান। এর ফলে এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি
হয় এবং লাকড়ির দামও বৃদ্ধি করেছে ব্যবসায়ীরা। এখন গ্যাসের সেই অবৈধ সংযোগগুলো
আবার ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে বলে অনেকেই জানান। সুত্রে জানা গেছে, কিছু
রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের নিরব ভুমিকায় অবৈধ গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব
হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।বর্তমানে ৯৫০ টাকার এলপি গ্যাস ১৩শ’ থেকে ১৪শ’
টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এলপি গ্যাসের বোতলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এর সাথে
১৩০ টাকার লাকড়ি এখন দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৩০০টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বেশি দামে কিনে তারা বেশি দামে বিক্রি করছে।