চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে সৈয়দ সেলিম শাহ একজন সাদা মনের মানুষ
৩৬০ আউলিয়াগনের পুন্য ভূমি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর আমাদের বৃহত্তর
সিলেট। হযরত সৈয়দ শাহ কলিম শাহ্ধসঢ়; (রহ:) স্মৃতি বিজড়িত এই হবিগঞ্জ জেলার
চুনারুঘাট উপজেলার সৃষ্টির সৌন্দর্য্য আর প্রকৃতির মাধুর্য্য এই দুই মিলে যখন
তৈরি হয় এক অপরুপ মিশ্রন, তখন তার দর্শনে বেচেঁ থাকার ইচ্ছা হয়ে ওঠে আরেকটু
প্রবল। প্রকৃতির এই অপরূপ সৃষ্টির অন্যতম একটি চুনারুঘাট উপজেলা এই জেলার
১০নং মিরাশী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বড় আব্দা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন শাহ সৈয়দ
মো: সেলিম উদ্দিন, মৃত: মধু মিয়া শাহ সৈয়দ ্ধসঢ়;র সুযোগ্য ২য় পুত্র বাংলাদেশ দেশের
একজন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী। তিনি শিক্ষা জীবন শেষে পাড়ি দেন রিযিকের
সন্ধানে সুদুর যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে ৩০ বৎসর যাবত প্রবাসে থেকে নিজের
গ্রামের ও ইউনিয়নের কথা সব সময় মনে রাখেন। শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিন যুক্তরাজ্য থেকে
সোনার বাংলার মাটির টানে ও মাজার সৈয়দ কলিম শাহ্ধসঢ়; ও ফেরাই শাহ্ধসঢ়; এবং কালা ফিরানী
মাজার শরীফের ভক্ত আশিকানদের টানে মাঝে-মধ্যে দেশে ফিরে আসেন নিজ গ্রাম বড়
আব্দা জন্মস্থানে। প্রতি বৎসরে বার বার এসে প্রবিত্র উরশ মোবারকের দায়িত্ব পালন করেন
তিনি। আজ সমাজের ভালো কাজের মানুষের বড় অভাব হয়ে উঠেছে দিনের পর দিন।
নি:স্বার্থ ভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাবার প্রত্যাশা নিয়ে এমন খুবকম মানুষ
এগিয়ে আসে। আবার কেউ কেউ আছেন যারা নাকি কাজ দিয়েই জয় করতে চান সব
কিছু। কাজই যেন এক আরাধনা তাদের কাছে। মানুষের জন্য নিজের সবটুকু বিলিয়ে
দেবার মাঝে আশিক তৃপ্তি অনুভব করেন কেউ কেউ। যারা শুধু কাজ করে যেতে চান মানুষ
আর সমাজের কল্যাণে। তাদেরই একজন বড় আব্দা গ্রামে নিজের কাজের যোগ্যতা দিয়ে
জায়গা করে নিয়েছেন শত সহস্ত্র মানুষের হৃদয়ের অন্তরে। শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিন ছোট
বেলা থেকেই সাধারন মানুষের সাথে চলা ফেরা করতে পচন্দ করেন। বিভিন্ন মানুষের সুখে-
দুখে এগিয়ে আসেন। শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিন অসহায় গরীব দুস্থদের মাঝে তার
সম্প্রসারের হাত বারিয়ে দেন নিজেকে তৈরি করেছেন আলাদা আঙ্গিকে। স্থানীয় যুবকদের
ভালো কাজে অনুপ্রেরনার যোগান দেন তিনি। শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিনের চিন্তাধারনা
নিজের গ্রামের বেকার যুবকদের কাজে লাগিয়ে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে বেকারত্ব দুর করা। বড়
আব্দা গ্রামসহ আশ-পাশের বিভিন্ন অসহায় গরীবদের মাঝে সার্বিক অনুদান করে
দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত। এবং মাদ্রাসা-স্কুল শিক্ষার উপকরন দিয়ে গ্রামের শিক্ষার
হার বাড়ানোর জন্য আপ্রান চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন। তিনি ছোট বেলা থেকে শাহ্ধসঢ়; সৈয়দ
সেলিম উদ্দিন শাহ্ধসঢ়; বিভিন্ন খেলাদুলাতে ভালো ছিলেন। তাই তিনি গ্রামে ও শহরে
খেলাদুলার ক্লাবগুলোতে খেলার উপকরনসহ ধরে রেখেন। প্রতি বৎসরে যুক্তরাজ্য থেকে
বাংলাদেশে এসে প্রতিবছর রমজান মাসে ইফতার ও সেহরী খাদ্যসহ যাবতীয় সমগ্রী
বিতরন করেন। বিভিন্ন এলাকায় দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল
আযহাতে ঈদের পোষাকসহ খাদ্য সামগ্রী অসহায় গরীব মানুষদের মাঝে তুলে দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিন সাহেব বলেন আমি চাই
আমার বড় আব্দা ও মিরাশী ইউনিয়নবাসীর সুখে-দুখে পাশে থাকেতে পারি এটাই আমার
কাম্য। বিশ্বের কাছে শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিন শাহ্ধসঢ়; এক নামে পরিচিত। যাহা আমরা
সরজমিনে দেখি ও জানি। এদেশের তিনি আমাদের মাঝে গর্ব। শাহ সৈয়দ সেলিম শাহ ভক্ত
আশেকানদের মাঝে তিনি সুন্দর এই সাদা মনের মানুষ । সেলিম শাহ্ধসঢ়; সমাজ সেবক
হিসেবে পরিচিত । সৈয়দ সেলিম শাহ্ধসঢ়; একজন সরল সাদা ও কামেল মানুষ। আমরা সকলই
এক আল্লাহর সৃষ্টির বান্দা। তিনি ওলি-আউলিয়া গনদের কাছে যেন সারা জীবন গোলাম
হিসেবে কাজ করে যেতে পারেন সেটাই উনার আশা রইল।