জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আর্ন্তজাতিক রামসার সাইট
খ্যাত জলাভূমি টাংগুয়ার হাওর এডিবির অর্থায়নে হাওর রক্ষা ও
বিধিমালা প্রনয়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। হাওর রক্ষায় দাতা সংস্থা
না পাওয়ায় এডিবি ফান্ডের (ইউনিয়ন ডেভলাফমেন্ট ফান্ড)
অর্থায়ন দিয়ে ১৬মাসের একটি খন্ডকালীন ও সীমিত প্রকল্পের
উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়,টাংগুয়ার হাওর
১৯৯৯সালে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনা করার পর
২০০০সালের ২০জানুয়ারী আর্ন্তজাতিক রামসার সাইট হিসাবে
স্বীকৃতি পায়। পরে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকার ৬০বছরের ইজারা
প্রথা বিলোপ করে। হাওর এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন,সম্পদ
সংরক্ষন,টেকসই ব্যবস্থাপনা,জীববৈচিত্র পূর্বের ন্যায় ফিরিয়ে
আনার জন্য ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে হাওরটিকে পরিবেশ ও বন
মন্ত্রনালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে ২০০৩সাল থেকে টাংগুয়ার হাওরে
কো-ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এর পর থেকে
পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের অধীনে দাতা সংস্থা এসডিসি (সুইজ
ডেভলাবমেন্ট কো অপারেশন) ৩দফা হাওর ব্যবস্থাপনায় অর্থায়ন করে
গত ৩১শে আগষ্ট ২০১৬সাল পর্যন্ত টাংগুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনা
কার্যক্রম পরিচালিত করে আসে। চলতি বছরের গত ৩১শে আগষ্ট
তৃতীয় দফা মেয়াদান্তে সুইস দাতা সংস্থা এসডিসি টাংগুয়ার
হাওরে সংরক্ষনে আর অর্থায়ন করবে না বলে জানিয়ে দেওয়ার পর সরকার
বিপাকে পড়ে যায়। টাংগুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনা আর হাওরে দেশ-
বিদেশের পর্যটক ও দশনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষনের ফলে হাওরে
জীববৈচিত্র,পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সোন্দর্য রক্ষার নতুন সংকট
দেখা দেয়। সরকার বিভিন্ন ভাবে দাতা খুঁজে না পাওয়া আর হাওরের
বিধিমালা চুড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আর্ন্তজাতিক পরিবেশ
সংঘটন আইইউসিএন পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের অধিনে এডিবি
ফান্ডের টাকার ১৬মাসের খন্ডকালীন ও সীমিত আকারে ব্যবস্থাপনায়
চালিয়ে যাবার উদ্যোগ প্রক্রিয়াদিন আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে
জানযায়। আরো জানাযায়,টাংগুয়ার হাওর রক্ষায় হাওরের সীমানা
নির্ধারন,জীব-বৈচিত্র বিশেষজ্ঞ,ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সরকারী-
বেসরকারী লোকজন,হাওর পাড়ের বাসীন্দা,স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের
মতামতের বিত্তিতে নতুন করে চুড়ান্ত বিধিমালা তৈরি করে গত মে
মাসে পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করে হাওরের ব্যবস্থাপনায়
নিয়োজিত আইইউসিএন (ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর ন্যাচার
কনজারবেশন অফ ন্যাচার এন্ড ন্যাচালার রির্সোস)। এই
বিধিমালায় কারা কিভাবে এ হাওরের রক্ষনাবেক্ষন করবে তা স্পষ্ট করে
বলা হয়েছে। এই বিধিমালাটি হাওর রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একটি
গাইড লাইন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাহিরপুর উপজেলার স্থানীয়
এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের অভিযোগ রয়েছে,ব্যবস্থাপনার
শুরুতেই প্রশাসন ও আর্ন্তজাতিক পরিবেশ সংগঠন
আইইউসিএন রামসার নীতি বাস্তবায়নের কাজ করলেও বাস্তবে
১৩বছরে নানা অনিয়মে হাওরের জীববৈচিত্র রক্ষার নামে নিরাপ্তায়
নিয়োজিত আনসার,পুলিশ এলাকা ভিত্তিক গঠিত সমিতির
নেতা,এনজিও প্রতিনিধি,ব্যবস্থাপনার কাজের নিয়োজিত
সরকারী বেসরকারী লোকদের দূর্নীতি ও সিন্ডিকেট তৈরী মাধ্যমে
অভাধে মাছ লোট,শীতে অতিথি পাখি শিকার করে বিক্রির কারনে
পাখি শূন্য এবং জীব বৈচিত্র ধংস করা হয়েছে। সিএনআরএস এর
তাহিরপুর উপজেলার সমন্নয়কারী ইয়াহীয়া সাজ্জাদ বলেন,টাংগুয়ার
হাওর কে নিয়ে যতই আইন-বিধিমালা তৈরী করা হউক না কেন হাওর
পাড়ের জেলে ও স্থানীয় সচেতন বাসীন্দারা নিজে উদ্যোগী হয়ে
বিধিমালা বাস্থবায়ন না করলে এর সুফল আমরা পাব না।
আইইউসিএন সিনিয়ির প্রগ্রাম অফিসার রেজাউল করিম
হাওরের অনিয়ম,দূর্নীতি বিষয়টি অস্বীকার করে জানান,হাওর রক্ষায়
দাতা না পাওয়ায় এডিবির (ইউনিয়ন ডেভলাফমেন্ট ফান্ড) অর্থায়ন
দিয়েই ১৬মাসের একটি খন্ডকালীন ও সীমিত প্রকল্পের উদ্যোগে
টাংগুয়ার হাওর রক্ষায় প্রক্রিয়াদিন আছে। টাংগুয়ার হাওর রক্ষার জন্য
সর্ব সম্মতি ক্রমে যে বিধিমালাটি তৈরী করা হয়েছে এবং
অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে সেটি হাওর রক্ষায় একটি গাইড লাইন
হিসাবে কাজ করবে। তাহিরপুর উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান
কামরুজ্জামান কামরুল জানান,ব্যবস্থাপনায় টাংগুয়ার ১৩বছরে
এনজিও প্রতিনিধি,ব্যবস্থাপনার কাজের নিয়োজিত সরকারী
বেসরকারী লোকদের দূর্নীতি ও সিন্ডিকেট তৈরী মাধ্যমে অভাধে
মাছ লোট,শীতে অতিথি পাখি শিকার করে বিক্রির কারনে পাখি
শূন্য এবং জীব বৈচিত্র ধংস করা হয়েছে। উপকারের পরিবর্তে
ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই হাওর কে রক্ষা করতে হলে
সঠিক,যুগোপযোগী আইন বাস্তবায়ন ও এখানে পর্যটন শিল্প
স্থাপন করে সচেতনতা মাধ্যমে মাছ ধরা,পাখি শিকার বন্ধ আর
জীববৈচিত্র ধংশ করার পরির্বতিতে হাওড় পাড়ের বাসীন্দাদের বিকল্প
কাজের ব্যবস্থা করা হলে হাওরের অতিথ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।