প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পাষন্ড স্বামীর নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়ে
আঘাত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন স্ত্রী পল্লবী রাণী (১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে গত
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের
গোন্দলগ্রামের তারণীপাড়ায়।
পল্লবী রাণী উপজেলার গোন্দলগ্রামের তারণীপাড়ার মিলন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী ও
পার্শ্ববর্তী কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ গ্রামের সুকুমারপাড়ার মৃত মহিন্দ্র
নাথ রায়ের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, গোন্দলগ্রামের তারণীপাড়ার মন্ত রায় ফুটকু সাধুর
ছেলে মিলন চন্দ্র রায় গত ৩ বছর পূর্বে পল্লবী রাণীর সাথে প্রেম করে বিয়ে করে।
দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন থেকে পারিবারিক কলহকে
কেন্দ্র করে কারণে অকারণে মিলন চন্দ্র রায় তার স্ত্রী পল্লবী রাণীকে বেদম মারপিট
করে আসছিল। ঘটনার দিন মেয়েকে ওষুধ খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর
মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে মিলন চন্দ্র রায় লোহার পেরেক
(স্থানীয় ভাষায় খিল) দিয়ে পল্লবীর বাম চোখের ওপরে আঘাত করে। এতে চোখের ওপওে
গভীর খতবিক্ষত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে সে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় পল্লবী স্থানীয়
ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে
প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে আসলে মিলন
বাড়ি ছেড়ে পালিয়ো যায়।
আহত পল্লবী রাণী বলেন, বিয়ের পর ভালোভাবে তাদের দিন কাটলেও কিছুদিন
থেকে কারণে অকারণে মিলন তাকে মারপিট করে আসছে। ঠিকমতো খোঁজখবরও
নেয় না। মেয়ের জন্যই তিনি সব নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান সুনিল কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,
এটি মিলন চন্দ্র রায়ের নির্মম নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ। এটা মেনে
নেয়া যায় না। ঘটনার পর তাকে ডাকতে লোক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে
পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্যাতনের শিকার পল্লবী
রাণীকে বলা হয়েছে।