প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে ঘোষণার অতিরিক্ত চাল
ভারত থেকে আমদানির অভিযোগে গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ৮ ট্রাকে ১৫১
মে.টন চাল জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা।
এ ঘটনায় হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সুবাশ চন্দ্র কুন্ডু ও
মো. আলাউদ্দিনকে তাৎক্ষণিক বদলী করেছে শুল্ক বিভাগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবি ২০ জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের এক
কর্মকর্তা বলেন, স্থলবন্দরের একটি ব্যবসায়ি চক্র দীর্ঘদিন থেকে ঘোষণার
অতিরিক্ত চাল ভারত থেকে আমদানি করে আসছে। এতে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব
আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করে
বিজিবি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকার মজুমদার এন্টারপ্রাইজ ও
বগুড়ার সুচি এন্টারপ্রাইজের নামে আমদানি করা ৮ ট্রাক ভারতীয় চাল আটক
করে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আমদানিকৃত চালভর্তি ট্রাক আটকের বিষয়টি
জানিয়ে পরিমাপ (ওজন) করার জন্য বলা হয়। কিন্তুরাজস্ব কর্মকর্তা সুবাশ চন্দ্র
কুন্ডু ও মো. আলাউদ্দিন বিষয়টি এড়িয়ে পরিমাপের বিষয়টি নিয়ে তালবাহানা
করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে আটককৃত চাল
পরিমাপ করা হলে সেখানে ঘোষণার ১৫১মেটিক টন চাল বেশি পাওয়া যায়।
স্থলবন্দর কাষ্টসম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকার মজুমদার এন্টারপ্রাইজ ও
বগুড়ার সুচি এন্টারপ্রাইজ নামের দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৮ ট্রাকে
১৩০দশমিক ২৮৮ মেটিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি করার ঘোষণাপত্র কাস্টমস
কার্যালয়ে জমা দেয়। এরমধ্যে ৬টি ট্রাক মজুমদার এন্টারপ্রাইজের এবং ২টি
ট্রাক সুচি এন্টারপ্রাইজের।
হিলি শুল্ক স্টেশনের সহকারি কমিশনার ফখরুল আমিন চৌধুরী বলেন, মিথ্যা
ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে অতিরিক্ত চাল আমদানি করায় ঐ দুই আমদানিকারক
সরকারের ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। আটককৃত চালের
ওপর রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি কাষ্টমস আইনে ঐ দুই আমদানিকারকের কাছ
থেকে জরিমানা আদায় করা হবে। এ ঘটনায় কাষ্টমসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুল্ক
স্টেশনের ঐ দুই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলী করেছেন।