হেলাল শেখ-ঢাকা ঃ
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১,আশুলিয়া জোনাল অফিসে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির
অভিযোগ উঠেছে,এর কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। নতুন
গ্রাহক হয়েও বছরের পর বছর বিদ্যুৎ লাইন মিটার (সংযোগ) পাচ্ছে না অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আবাসিক মিটারের সংযোগে বাণিজ্যিক ভাবে
ব্যবহার করা হচ্ছে। সাইড লাইন দিয়ে অর্থ বাণিজ্যে মেতে উঠেছে অফিসের
কর্মকর্তারা। “ঘুষের কারবার জমজমাট ভাবে চলছে” অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ ছাড়া
সংযোগ মেলে না। নতুন গ্রাহক অনেকেই জানান,“ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১”
আশুলিয়া জোনাল অফিসের কিছু কর্মকর্তাকে ঘুষ না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া
যায় না। গত ০২/০২/২০১৫ ইং আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার আলমগীর মিয়া নামে “
৫২৫৫৩০, ৫২৫৫৩১, ৫২৫৫৩২, ৫২৫৫৩৩,৫২৫৫৩৪, ৫২৫৫৩৫ ও ৫২৫৫৭৯ নাম্বার সি. ৭টি
মিটারের জন্য টাকা জমা দিলেও এখন পর্যন্ত সংযোগগুলো দেওয়া হয়নি বলে গ্রাহকগণ
জানান। অভিযোগ রয়েছে, এরকম অনেকেই টাকা দিয়েও সংযোগ পাচ্ছেন না।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ায় জোনাল অফিস ৬ টি,৩০৭৫৮০টি
আবাসিক সংযোগ, ২৫৪০৭ টি বাণিজ্যিক সংযোগ, শিল্ল সংযোগ ৪৫০৭টি, গভীর
নলকূপ ৩১২টি,অগভীর নলকূপ ৭৫৪টি, এল,এল পি ১০৪টি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ১৭৫৬টি, রাস্তার
বাতি ১৯৭টিসহ সংযোগ প্রাপ্ত মোট গ্রাহক ৩৩৮৩৬৬/টি, মোট সংযোগ
সুবিধা সৃষ্টি ৩৪০৬৬৩ টি। উক্ত এলাকার আয়তন রয়েছে ৪৮৬ বর্গ কিলোমিটার।
বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়
আনতে চায় সরকার। কিন্তু পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে
বলে অনেকের অভিমত।পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতায় বর্তমানে ৭৭টি
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে গ্রামঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সরকার। নতুন সংযোগ
দেয়াসহ বিভিন্ন কাজে নানারকম অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু
কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। আর এসব অসাধু লোকদের মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতি
করার কারণে সরকারের উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন দলীয় অনেক নেতা
কর্মী।
এইসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিলে হয়ত সরকারের
ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আর কেউ সাহস পাবে না। আমাদের প্রতিনিধিররা জানিয়েছেন,
দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের মধ্যে বেশিরভাগ অফিসের
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সীমাহীনভাবে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে।
পদে পদে অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যের কারণে সেবার বালাই নেই। যেমনঃ মেহেরপুর পল্লী
বিদ্যুতের গাংনী শাখার ওয়্যারিং পরিদর্শক শাহজাহানকে স্যার না বলায় ওমর ফারক নামের
এক মুক্তিযুদ্ধাকে লাঞ্জিত কারার অভিযোগ করেছে ওই মুক্তিযুদ্ধা।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ ১, আশুলিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জি এম নাজমুল জানান, যে
কর্মকর্তা কর্মচারী অনিয়ম দুর্নীতি করবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া
হবে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সংযোগরে কাজে সাধারণ গ্রাহক গেলে অফিসের স্টাফরা বলে
আজ নয়, কাল, এরকম ৭ দিন ও মাসের পর মাস এবং বছরও লেগে যায় নতুন সংযোগ পায় না
তারা অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,টাকা দিয়েও সংযোগ পাচ্ছি না ভাই।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া ইস্টার্ন হাউজিং এ অবস্থিত ঢাকা
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জামগড়া জোনাল অফিসের কর্মকর্তা জনাব কনক ও শাহজালাল
উক্ত ৭টি নতুন মিটারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, এক বছর আপনি কোথায়
ছিলেন? আমরা চেষ্টা করছি যত তারাতারি পারি সংযোগ ৭টির মিটার লাগিয়ে দিবো।
উক্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক
প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।