থানা প্রতিনিধিঃ
মিরপুর পল্লবী থানা ১১ নং এভিনিউ /৫ এলাকায় ইনসাফিয়া জামে মসজিদে প্রতারক, ভন্ড পীর, নারী পিপাসু
মামুন আর রশিদ ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির
সদস্য সচিবের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করিয়াছে। সংবাদ পাইয়া সরেজমিনে
গিয়া এলাকাবাসীর নিকট জানিতে পারি। ভন্ড মামুন-অর- রশিদ গত
বি.এন.পি জামায়েত সরকারের আমলে সেকশন- ১১/সি, এভি: ০৫, লাইন-
২১/২২, পানির টাঙ্কির পূর্ব পার্শে বস্তিতে ৫০০/- টাকায় একটি ঘর
মাসিক হিসাবে ভাড়া নিয়া নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়া ঝাড়ফুঁকের
ব্যবসা শুরু করেন। কবিরাজী করিতে করিতে এক সময় পীর সাজিয়া বস্তির
লোকজন উচ্ছেদ করিয়া জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ হইতে ইনসাফিয়া জামে
মসজিদ ও দরবার শরিফের নামে জমি বরাদ্দ নিয়া জনগণের টাকায় মসজিদ
নির্মাণ করিয়া মসজিদের নিচের তলায় খানকা শরীফ বানাইয়া তাহার
সহযোগী রহমান, কাশেম মোল্লা, লিটন ফকিরের সহযোগীতায় বিভিন্ন
মহিলা, যুবতী নারীদের নিয়া অসামাজিক কার্যকলাপ করিত এলাকার কেউ
তাহার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিলে, তাহার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা মারধর
করিয়া মিথ্যা মামলা দিয়া হাজতে পাঠাইয়া দিত। এই ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে
কেও কাথা বলতেও সাহস পাইতো না। তাহার কথায় অবাদ্ধ হওয়ায় সে গত ইং
২০০৫ সালে গর্ভবতি ফরিদা নামে এক মহিলাকে ফেনসিডিল দিয়া মিথ্যা
মামলা সাজাইয়া হাজতে পাঠায় যাহা পল্লবী থানার মামলা নম্বর- ১৯ তাং:
১০/০৯/২০০৫ এবং বাবর নামের এক ব্যাক্তি মসজিদ পরিচালনা কমিটি করিতে
বলিলে তাহাকেও জঙ্গি বলিয়া তাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নাম দিয়া তাকে
এলাকা হইতে বিতারিত করেন। পীর সাজিয়া বিভিন্ন লোকদের নিকট হইতে
কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। সে এক সময় একজন কসাইয়ের হেলপার
হইতে পীর সাজিয়া আর পিছনের দিকে তাকাতে হয় নাই। সে গত ইং ২০০৫
সাল হইতে উক্ত ইনসাফিয়া মসজিদের স-ঘোষিত সভাপতি সাজিয়া ও পীর
সাজিয়া তাহার সন্ত্রাসী সহযোগীদের সহায়তায় কশাইয়ের হেলপার হইতে
রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনে যান। সে দীর্ঘদিন অপকর্ম করিয়া
সর্বশেষ উক্ত মসজিদের দক্ষিণ পাশের মুক্তিযোদ্ধা এম.এ হক সাহেবের স্ত্রী,
হেলেনা হকের সহিত দীর্ঘদিন পরোকিয়া প্রেম করিয়া গত ১০/০২/২০১৬ইং
তারিখে তাহাকে তাবিজ করিয়া ভাগাইয়া নিয়া উভয়ে পলাতক থাকেন।
বর্ণিত বিষয়ে এলাকার মানুষ তাহার বিরুদ্ধে গনস্বাক্ষর গ্রহণ করিয়া ০৩ নং
ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেবকে বিষয়টি জানাইলে মাননিয় কাউন্সিলর সাহেব
মাননীয় সংসদ সদস্য ঢাকা-১৬ আসনকে এলাকার সার্বিক বিষয়ে
জানানো হয়। মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব, আলহাজ্জ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা
সাহেব গত ২৪/০৩/২০১৬ইং তারিখে ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট্য আহবায়ক কমিটি
করিয়া মসজিদ পরিচালনার দায় দ্বায়িত্ব বুঝাইয়া দেন। ইহাতে পলাতক ভন্ড পীর
মামুন-অর- রশিদ মসজিদ পরিচালনা আহবায়াক কমিটির আহবায়ক ও সদস্য
সচিব সাহেবকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। বিধায় মসজিদ
পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়রী
রুজু কনের। যাহ পল্লবী থানার ডায়রী নং- ৫৫৫, তাং ০৯/০৪/২০১৬ইং এবং
ডায়রী নং ৫৫৬, তাং ০৯/০৪/২০১৬ইং ইহাতে ভন্ড পীর মামুন-অর- রশিদ আরও ক্ষিপ্ত
হইয়া ঢাকা জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে হেলেনা হককে বাদী
বানাইয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির লোকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন
যাহা পিটিশন মামলা নং ১৫২/১৬, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের
১০/৩০ ধারা বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পাঠাইলে তদন্তকারী অফিসার
বর্ণিত মামলায় ব্যাপক তদন্ত করিয়া গত ইং ১০/০৫/২০১৬ তারিখে বর্ণিত
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে
তদন্তকারী অফিসার মিথ্যা মামলা হিসাবে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
এবং তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণ পাওয়া যায় ভন্ড পীর মামুন-অর- রশিদ হেলেনা
হককে বাদী বানাইয়া মিথ্যা মামলা রুজু করিয়াছেন। ইহাতে আরও ক্ষিপ্ত
হইয়া পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আরেকটি মিথ্যা অবিযোগ দায়ের করেন।
বর্ণিত অভিযোগ তদন্তের জন্য পল্লবী থানায় পাঠানো হইলে তদন্তকারী
অফিসার অভিযোগটি ব্যাপক তদন্ত করিয়া মিথ্যা অভিযোগ হিসাবে
রিপোর্ট করেন। বর্ণিত ভন্ড পীর মামুন-অর- রশিদ মসজিদ পরিচালনা কমিটি
সদস্য সহ মসজিদের ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা নির্বাহী
মেজিষ্ট্রেট আদালতে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা পিটিশন
মামলা নং ১৪/২০১৬ ধারা ১০৭/১১৭ (সি) অত্র মামলায় ও মসজিদ পরিচালনায়
কমিটির অভ্যাহতি পান বর্তমান পরিবেশে ভন্ড মামুন-অর- রশিদ তাহার সন্ত্রসী
বাহিনী দিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি
প্রদান করিতেছে। গত ২৪/১০/২০১৬ইং তারিখ মসজিদের মুসল্লিরা আসরের
নামাজ শেষ করিয়া সালাম ফিরাইলে। ভন্ড মামুন-অর- রশিদ তাহার সন্ত্রাসী
বাহিনীর সদস্য (১) কাশেম মোল্লা (২) লিটন ফকির (৩) টিটু (৪) সাজ্জাদ
সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়া মসজিদে প্রবেশ করিয়া
অতর্কিতভাবে হামলা করিয়া, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব
শাহিন ঢালীর উপর হামলা চালায় বর্ণিত ঘটনা এলাকায় জানাযানি হইলে
মসজিদের মুসল্লি সহ এলাকার সর্বস্তরের মহিলা, পুরুষ বাহির হইয়া
আসিলে ভন্ড পীর মামুন-অর- রশিদ তাহার ভাড়াটে সন্ত্রাসী লিটন ফকির, কাশেম
মোল্লা সহ সন্ত্রাসীরা সবাইকে মসজিদ কমিটি হইতে পদত্যাগ করিতে
বলে এর ফলে এলাকার জনগনের তোপের মুখে পরিয়া পালাইয়া যাইতে বাধ্য হয়।
বর্তমানে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করিতেছে। বর্ণিত বিষয়ে ইনসাফিয়া
জামে মসজিদের সদস্য সচিব থানায় সাধারণ ডায়রী রুজু করেন।
যাহা পল্লবী থানার ডায়রী নং ১৯০৫, তাং ২৪/১০/১৬ইং এবং মুক্তিযোদ্ধা এম.এ
হক সাধারণ ডায়রী করেন। যাহা পল্লবী থানার ডায়রী নং ১৯১৮, তাং
২৪/১০/২০১৬ইং।