প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানা পুলিশের আটক বানিজ্যের বিচার চেয়ে জেলা
প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) লিখিত
অভিযোগ করেছেন আহসান হাবিব নামের এক ব্যবসায়ি।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা
যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার বেলতলী বাজারের চোপড় ব্যবসায়ি আহসান হাবিব গত
শনিবার (২২অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১টায় তার লেবার নিয়ে ঠাকুরগাঁও থেকে
চোপড়ের ট্রাক আসার অপেক্ষায় দোকানের ভেতরে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় থানার
এএসআই জাহিদ হোসেন, কনস্টেবল মাহমুদসহ অপর দুইজন কনস্টেবল সাদা
পোষাকে দোকান ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকে ব্যবসায়ি আহসান হাবিব,
লেবার রশিদুল ইসলাম, জাহিবুর রহমান ও আছিমুলের দেহ তল্লাশী চালিয়ে
কোমড়ে রাখা ৩৭হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এ সময় তাদের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে
থানায় নেয়ার সময় তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়।
উপায়ান্ত না পেয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে এএসআই জাহিদ
ছেড়ে দেয়ার জন্য ২লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু দর কষাকষির এক পর্যায়ে পুলিশের
কথিত সোর্স পাহাদার সিরাজুল ইসলামের মধ্যস্ততায় ৫৩হাজার টাকা বিষয়টি
রফাদফা হলে বেলতলী বাজারের পশ্চিমের কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে বিষয়টি কাউকে
না জানানোর হুমকি দিয়ে হ্যান্ডকাপ খুলে দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন
সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে অন্যান্য ব্যবসায়িসহ সর্বমহলের ক্ষোভের
সৃষ্টি হয়।
অভিযোগকারি চোপড় ব্যবসায়ি আহসান হাবিব বলেন, জেলা প্রশাসক ও
পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দাখিলের পর থেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে
পরিচিত সিরাজুল ইসলাম তাকে গাছ কাটাসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর
হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
এএসআই জাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনার রাতে ঐ দোকানঘরে জুয়ার আসর
বসেছিল। জুয়ার আসর থেকেই তাদেরকে আটক করা হলেও তাদের অনুরোধেই ছেড়ে
দেয়া হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, তাকে না
জানিয়েই এএসআই জাহিদসহ কনস্টেবলরা ঐ কাজ করেছে। তিনি ঐ বিষয়ে
কিছুই জানেন না। খোঁজখবর নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্বিক বিষয়টি
জানানো হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে দায়িদের বিরুদ্ধে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।