২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১০০ রান সংগ্রহ করে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাটিং করছিলেন দুই ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও বেন ডাকেট। তবে চা বিরতির পর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ইংল্যান্ডের স্কোর : ১১৭/২।
তৃতীয় সেশনের প্রথম ওভারে ডাকেটকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক পূর্ণ করে আউট হয়েছেন ডাকেট (৫৬)। পরের ওভারে ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান জো রুটকেও সাজঘরমুখী করেছেন সাকিব। আরেক ওপেনার কুক অবশ্য উইকেটে আছেন অর্ধশতক পূর্ণ করে। ব্যাট করছেন ৫১ রান নিয়ে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট জিততে হলে অবশ্য নতুন রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। এশিয়ায় এত বেশি রান তাড়া করে কখনোই জিততে পারেননি ইংলিশ ক্রিকেটাররা। ২০০-এর বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল মাত্র একবারই, ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেবার ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্য ছিল ২০৯ রান।
৩ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের প্রথম ১৪ ওভার নির্বিঘ্নেই কাটিয়েছিলেন ইমরুল ও সাকিব। কিন্তু ১৫তম ওভারে মইন আলীর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ইমরুল। আউট হওয়ার আগে ৭৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দুইবার জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৪১ রান করে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। করেছেন ৯ রান। দ্রুত রান সংগ্রহের তাগিদে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেছিলেন সাব্বির রহমান। তিনটি চার মেরে করেছিলেন ১৫ রান। কিন্তু সাব্বিরকে সেখানেই থামিয়ে দিয়েছেন রশিদ। শেষপর্যায়ে শুভাগত হোমের ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৯৬ রান।
ইংল্যান্ডের পক্ষে দারুণ বোলিং করে চারটি উইকেট নিয়েছেন রশিদ। তিনটি উইকেট পেয়েছেন বেন স্টোকস। দুটি উইকেট গেছে জাফর আনসারির ঝুলিতে।