শুরু হচ্ছে শীতের মৌসুম” আকাশ জুরে বিরাজ করছে কুওয়াশার চাঁদর । সকাল হলেই দেখা
যায় মৃদু শিশিরের উপস্থিতি । বাংলাদেশ ষর ঋতুর দেশ তাই প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর বদল
করে তার রূপ ও রং । শীতকাল সমাগত তাই তো কৃষক কুল ব্যাস্ত হয়ে উঠেছে শীতকালীন
ফসল চষে। নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রতিটি গ্রামে
বীরাজ করছে শীতের আমেজ । আর এই শীতকে ঘীরে ব্যাস্ত সময় পারকরছে এই অঞ্চলের
চাষীরা । শীতকালীন ফসল চাষে কে ঘীরে গ্রামীন জীবন যাত্রায় পরেছে প্রচন্ড প্রভাব ।
শীতকালীন ফসল মানেই যেন সকালে উঠে মাঠে যাওয়া আর ফসল লাগানো । আর এই
শীতকালীন ফষল চষে শুধু পুরুষই নয় নারীরা ও পুরুষের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোর
থেকে শুরু করে সন্ধা পর্যন্ত মাঠে কাজকরছে । লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে পুরুষের
পাশা পাশি মেয়েরা ও সকাল থেকে শুরু করে চাষীর বাড়িতে শীতকালীন ফসল রসুন এর কোয়া
বাছছে আবার সকালে সেই রসুন মাঠে নিয়ে দিন ভর সেই রসুন লাগাচ্ছে যেন দম ফেলার
সময় নেই । শীতকালীন ফসল হিসেবে আগে এই অঞ্চলে চাষ হতো গম ,মসুর খেসারী,
মুগ,মটার কিন্ত গত ৪বছর ধরে বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্যতম ফসল রসুনের চাষ এই অঞ্চলের
কৃষকেরা বেশী করে চলেছে তারা বর্ষা মৌসুমের ধান কাটা শেষে ঐ জমিতে রসুনের
কোয়া লাগায় যাতে পানি সেচ ও সার বেশী লাগে না । এবং যার মাধ্যমে এই অঞ্চলের
কৃষক অনাণ্য ফসলের থেকে বেশী লাভবান হচ্ছে ।ঐ রসুন চাষের জন্য জমি চাষের
প্রয়োজন পরেনা ধান কেটে ঐ জমিতে পরিস্কার করে তাতে রসুনের বিজ রোপন করে উপরে
খরকুটো দিয়ে ঢেকে দিলেই রসুন হয়ে যায় ।