ইমরান হোসেন বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনার পাথরঘাটা কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র থেকে নির্ধারিত তিন ঘন্টা সময় পার হওয়ার পূর্বেই উত্তর পত্র কেড়ে নেন কর্তব্যরত শিক্ষক। এতে করে পরিক্ষায় কাংক্ষিত ফলাফল থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন পরীক্ষার্থীরা।কেন্দ্র পরিদর্শকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দু’শিক্ষককে সাময়ীক দায়িত্ব্য থেকে অব্যহতি দিয়েছে কতৃপক্ষ। জানা গেছে, পহেলা নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। মোট ২৮টি কক্ষে ৮৯২জন জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় পাথরঘাটা কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। পরীক্ষার প্রথমদিন বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালিন নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পূর্বেই কালমেঘা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪জনশিক্ষার্থীর উত্তর পত্র কেড়ে নেন কক্ষ পরিদর্শক মির্জা মাহাতাফ ও সুবাস চন্দ্র ভট্টাচার্জ । কালমেঘা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাথরঘাটা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩নং কক্ষে পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। এই কক্ষে ৪৮জন শিক্ষার্থী থাকলেও কালমেঘা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪জনার উত্তর পত্র নির্ধারিত সময়ের পূর্বে টেনে নেয়া হয়। ৩নং কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্য¡ পালন
করেন, তাসলিমা মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা মাহাতাফ ও হাতিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুবাস চন্দ্র ভট্টাচার্জ। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পরীক্ষা না দিতে পারার কারনে অনেকে ফেল করারও আশংকা করছেন। তাছাড়া উত্তরপত্র চেক করার সুযোগও দেয়া হয়নি বলে জানান পরীক্ষার্থীরা।
কালমেঘা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী, সুমাইয়া, সোনিয়া, লিমা, তানজিলাসহ ২৪জন পরীক্ষার্থী বলেন, নির্ধারীত সময়ের ৫মিনিট পূর্বে তাদের
উত্তর পত্র জোড় করে টেনে নেয়া হয়। এতে তারা অনেক প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেনি। এমনকি বিগত সময় কি লিখেছে তাও চেক করতে পারেনি।এর ফলে রেজাল্টে বড় ধরনের প্রভাব পরলে দায় কে নিবে বলেও অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা।কালমেঘা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুর রহমান বলেন,
কালমেঘা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রেজাল্ট খারাপ করার জন্য একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা সৃস্টি করেছেন। শুধু দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হলো
এতে করেকি আমার ছাত্রছাত্রী যা লিখতে পারেনি তা ফিরে পাবে? প্রশ্ন প্রধান শিক্ষকের।প্রতি বছর এমন ঘটনাই ঘটানো হয় এই কেন্দ্রে।অভিযুক্ত শিক্ষকদের
দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন প্রধান শিক্ষক। জানতে চাইলে তাসলিম মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা মাহাতাফ
বলেন, ঘটনা এ পর্যন্ত গড়াবে তা জানলে উত্তরপত্র আগে নেয়া হতোনা। হাতিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুবাস চন্দ্র ভট্টাচার্জ বলেন, ঘন্টা পড়ার
পরেই আমি উত্তরপত্র নিয়েছি।পাথরঘাটা একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচীব বীরেন্দ্র নাথ বেপারি
বলেন, তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ঘটনাটি জানালে তিনি ঐ শিক্ষকদের পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে দায়িত্ব্য পালন থেকে অব্যাহতি দেয়ার
নির্দেশ দেন। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনা তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।
তদন্তে দোশী প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।