ঢাকাঃ
জাতীয় অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এম আর খান আর নেই। আজ শনিবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
এম আর খান নামে সর্বাধিক পরিচিত জাতীয় অধ্যাপকের পুরো নাম মোহাম্মদ রফি খান।
এম আর খানের ব্যক্তিগত সহকারী এস এম সেলিম জানান, দীর্ঘ আট মাস তিনি সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২১ দিন ধরে তিনি ছিলেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।
আগামীকাল সকাল ১০টায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জাতীয় অধ্যাপকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর দাফন অনুষ্ঠিত হবে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়।
দীর্ঘদিন ধরে দেশের শিশুস্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করেছেন এম আর খান। নিজের পেনশনের টাকায় গড়ে তোলেন ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট। এ ট্রাস্ট থেকে শিশুস্বাস্থ্য ও শিক্ষায় অনুদান, হাসপাতাল ও স্কুল প্রতিষ্ঠা, মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়।
১৯২৮ সালের ১ আগস্ট সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান। ১৯৫২ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন তিনি। ১৯৫৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে এডিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনে ভর্তি হন। পরে এডিনবার্গের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে এডিনবার্গ থেকে ফেলো অব রয়েল কলেজ অ্যান্ড ফিজিশিয়ানস (এফআরসিপি) ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬২ সালে দেশে ফিরে আসেন এম আর খান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিশু বিভাগে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন এম আর খান। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে তাঁর নয়টি একাডেমিক গ্রন্থ ও বহু প্রবন্ধ আছে, যা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত।