আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ বিয়ে হয়েছে
একমাস আগে। বিয়ের পর থেকে অনেক আশা ছিল শ্বশুড় বাড়িতে
সারাজীবন পার করবেন গৃহবধু জয়ন্তী রাণী রায়। কিন্তু সে আশা
পুরন হচ্ছে না তাঁর। শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের নির্যাতনে গৃহবধু
জয়ন্তী রানী রায় এখন অসুস্থ্য। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও সদর
উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নে।
গৃহবধু জয়ন্তী রাণী রায় বলেন, চলতি বছরের ১৪ আগস্ট বড়গাঁও
ইউনিয়নের মিঠুন চন্দ্র রায়ের সাথে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর
থেকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাকে মেনে নেয়নি। সর্বশেষ গত
সোমবার (৩১ অক্টোবর) স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারের মাধ্যমে তাকে
শ্বশুর বাড়ীতে পাঠানো হয় তাকে। এরপর থেকেই তাঁর উপর নেমে
আসে নির্যাতন। শ্বশুর বাড়ীর লোকজন প্রায় সময় তাকে শারীরিক ও
মানষিক ভাবে নির্যাতন করে। এমনকি সারাদিনে একবার দেয়া হয়
খাওয়া। তারপর শ্বশুর বাড়ী ছেড়ে যাবেন না গৃহবধু জয়ন্তী।
নির্যাতন সহ্য করেই শ্বুশুর বাড়ীতে সারাজীবন কাটাতে চায় বলে
জানান গৃহবধু জয়ন্তী রাণী রায়।
গৃহবধুর বাবা অমুল্য রায় বলেন, ছেলের পরিবারের সম্মতিতে তাঁর
মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু পরে তাঁর মেয়ে মেনে নিতে নারাজ শ্বশুর
বাড়ীর লোকজন। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হলে তিনি
দু’পক্ষকে নিয়ে মিমাংশায় বসেন। তারপর ছেলের পরিবারের লোকজন
তাঁর মেয়ে জয়ন্তী রাণীকে ঘরে তোলেন। কিন্তু এরপর থেকেই তাঁর
মেয়ের উপর চলছে নির্যাতন।
বড়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাত চন্দ্র সিং বলেন, বিষয়টি
আমি শুনেছি। স্থানীয়ভাবে মিমাংশার জন্য চেষ্টা করছি।
গৃহবধুর শ্বাশুরী সুলেখা রাণীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ
করা তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, এ ধরনের ঘটনার
কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া
হবে।