মোঃ আরিফ জাওয়াদ, দিনাজপুর:-
আশরাফুল ইসলামের বাড়ি জেলার নবাবগঞ্জের ৭নং দাউদপুর ইউপি’র খোদাইপুর গ্রামে। পেশায় রাজমিস্ত্রী হলেও শখে বশে বাহারী রকমের পান মসলা দিয়ে ‘বন্ধু-বউ সোহাগী’ খিলি পান বিক্রি করছেন।
২০১৪ সালে এক ইসলামী সমাবেশে গিয়ে শখের বশে বাহারী রকমের মশলা দেখে একটি পান মুখে দেন তিনি। পরবর্তীতে সেই ভাল লাগা থেকে ওই দোকানীর কাছ থেকে এ মিষ্টি পান তৈরি করার কৌশল শিখে পানের দোকান করার সিদ্ধান্ত নেন, বলে জানায় আশরাফুল।
তিনি জানায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা রাজমিস্ত্রির কাজ করি। মেলা কিংবা ইসলামিক সমাবেশের খবর পেলেই রাতে ‘বন্ধু-বউ সোহাগী’ খিলি পানের দোকান দিই। অনেক মানুষ আছেন যারা কখনোই পান মুখে দেন নি কিন্তু পানের বাহারী রকমের সু-গন্ধি মশলা দোকান দেখে অনেকেই আছেন যারা জীবনের প্রথম পান খেয়েছেন, বলে দাবি করেন তিনি।
বগুড়ার চারমাথায় সৌর মসজিদ এলাকা থেকে বাহারী ধরনের এ পান মসলা কিনেন তিনি। প্রায় ৬০-৭০ প্রকারের মশলা দিয়ে তৈরি প্রতি ‘বন্ধু-বউ সোহাগী’ পানের মূল্য রেখেছেন ৫ টাকা।
খিলি পানের এ ধরনের অদ্ভুত নাম রাখার কারণ জানতে চাইলে আশরাফুল বলে, বাহারী রকমের মিষ্টি মশলা দিয়ে পান খাওয়ার মধ্য দিয়ে বন্ধু আর স্ত্রী’র মধ্যে সম্পর্কটা আরো ভাল হবে। সেই বিশ্বাস থেকে পানটির এ নাম রাখা।
আশরাফুল জানায়, মেলা কিংবা মাহফিলে এক রাতে কমপক্ষে ৫০০-৭০০ পান বিক্রি হয়। এত পান বিক্রি হলেও প্রতি পানে ৫০ পয়সা করে লাভ হয়, বলে জানান তিনি।
পান কিনতে আসাদের অল্প বয়সীদের শিশু-কিশোরদের সংখ্যাই বেশী। বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানায়, এ পানটি খেলে জিহ্বাহ যেমন লাল হয় ; তেমনি মুখে বেশিক্ষণ ধরে সুগন্ধ থাকে। সেই উদ্দেশ্যে এ পান খাওয়া।