মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ভবন ফাটল দেখা দেওয়ার কারণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় হাসপাতালের আন্তর্বিভাগে তিন দিন ধরে রোগী ভর্তি বন্ধ ঘোষণা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা ২০ মিনিটে আকস্মিক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে হাসপাতালটি। এ সময় হাসপাতালে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ রোগীরা পড়েন আতঙ্কের মধ্যে। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু থাকলেও গত বুধবার বিকেল থেকে তা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
শুধু হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগ চালু রয়েছে, কিন্তু তাতেও মিলছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা পেতে পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে রাজনগর হাসপাতালটি নির্মিত করা হয়। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র ভরসা ৩১ শয্যাবিশিষ্ট রাজনগর সরকারী হাসপাতালটি। গত রবিবার রাতে এই হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন, বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় ২০-২৫ টি ফাটল দেখা দেয় এবং ৬-৭টি জায়গায় ছাদের ওপর থেকে পলেস্তরা খসে পড়েছে। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিলেটের সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রকৌশলী ভবনটি পরিদর্শন করে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফজালুর রহমান শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মহোদয় আমাদের বলেন, হাসপাতালটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রোগী ভর্তি করা যাবে না। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শে রোগী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম পাঠান বলেন, ঘটনাস্থল গিয়ে প্রত্যক্ষর্শীদের বক্তব্য ও বিভিন্ন ফাটল দেখে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ লিখে ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।