ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার ডিইপিজেড পুরাতন জোনে অবস্থিত সাউথ চায়না ব্লেসিং এন্ড ডাইং বিডি
নামক কারখানার বয়লার চালাতে জালানি হিসেবে গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ঝুট।
জানা গেছে, ঝুট পুড়িয়ে বয়লার চালানোর ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। এতে প্রতি মাসে
প্রায় ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে সুত্র জানায়। দেখা যায়, সাউথ চায়না ব্লিসিং ও ডাইং কারখানা
থেকে নির্গত ধোঁয়া বের হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ধোঁয়ার কারণ জানতে গিয়ে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজি
হয়নি। কারখানার লোকজন বয়লার চালাচ্ছে শত শত বেল ঝুট দিয়ে। বেপজার নিয়ম অনুযায়ী বয়লারটির জালানি
হিসেবে গ্যাস অথবা ফার্নেস অয়েল ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। যা দেশের বাজার থেকে ক্রয় করতে হবে।
সুত্র জানায়, বয়লারটি চালাতে যে ঝুট ব্যবহার করা হচ্ছে তা ইপিজেডের ঝুট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে
ইপিজেডের বাহিরে সুতা,নতুন কার্টন বিদেশে বিক্রি করলে কাস্টমস ও বেপজা থেকে বের হওয়ার সময় সরকারি
ট্যাক্স কাস্টমের মাধ্যমে দিতে হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এ ট্যাক্স থেকে ইপিজেড ও কাস্টমস এর কতিপয় অসাধু
কিছু কর্মকর্তা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পরিকল্পনা করে নিজেদের ফায়দা ও স্বার্থ হাসিলের জন্য ঝুট
পুড়ে বয়লার চালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে।
আশুলিয়ার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে জানায়, ঝুট ব্যবহারের ফলে বয়লার থেকে যে ধোঁয়া রের হয় তা
পার্শবর্তী গ্রাম সুবন্দি ও কাইচাবাড়ি এলাকায় বসবাসরত মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ চরম হুমকিতে।
ডিইপিজেডের ওই কারখানার অনেকের রোগব্যাধি হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে বয়লার
অপারেটররা জানায়, আমরা পেটের দায়ে চাকরি করি, কারখানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যা করতে বলেন, আমরা তাই
করি। তারা আরো বলেন,নানা রোগের আশঙ্কা জেনেও জীবন বাঁচাতে এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি।
কাস্টমস সুত্র জানায়, কোনো কারখানাই ঝুট পোড়াতে পারবে না। সাউথ চায়না ফ্যাক্টরির জিএম সোবায়েত
হোসেনের সাথে সাংবািিদক পরিচয়ে জানতে চাইলে, তিনি অস্বীকার করে বলেন, কোনো ঝুট পোড়াই না
বা ঝুট পুড়ে বয়লার চালাই না। এটি পরিচালিত হয় শুধুমাত্র গার্বেজ পুড়ে, যা কোনো কাজে লাগে না। এটা
একটি নতুন পদ্ধতি। বেপজা সংশ্লিষ্টরা জানান, সাউথ চায়না কারখানাটিতে শুধু নয় কোনো বয়লার চালাতে
ঝুট পেড়ানোর নিয়ম নেই। তবে কেউ পরিবেশ দূষণ করলে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর বেপজা আইন অনুযায়ী
ব্যবস্থা নেয়া হবে।